শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র দলের কমিটি প্রত্যাহারের দাবি ঢাকা আগামী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাদই নামক স্থানে পড়ে যায় আহত ০১ মাধবপুরে চাচার হাতে ভাতিজী খুন হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজকে সকল প্রকার রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার দাবী

আকরামুজ্জামানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ আদালতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত হবিগঞ্জ এর পক্ষ থেকে মামলা আমলে নিয়েছে আদালত

সৈয়দ মোহাম্মদ আলী বশনী
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪
  • ১১৭ বার পঠিত

শবে বরাত নিয়ে কটুক্তি করায় আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম ও রবিউল ইসলাম বোরহান নামে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৯ শে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন এর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত হবিগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য ও বাহুবল উপজেলার বশিনা মঞ্জিলে “আলী” খান্দান দরবার শরীফের গদ্দীনিশিন পীরে তরিকত শাহজাদা মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ আলী বশনী ।

বিজ্ঞ বিচারক মামলার শুনানী ও জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দিবেন বলে জানান। গতকাল রবিবার বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১২ ই মার্চ শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করেন।
আসামী আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম ঢাকার ইহইয়া-উস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এবং অপর আসামী রবিউল ইসলাম বোরহান সালাফি মানহাজ ইউটিউব চ্যানেল এর এডমিন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ জাদিল উদ্দিন আহমেদ জানান, ১নং আসামী আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম ঢাকার একটি মসজিদের খুতবায় বলেন “১৪ই শাবান (তথা শবে-বরাত) রাত্রীতে এভাবে মসজিদে ভীর না করে যদি বেশ্যাখানায় রাত কাটায় তারপরও এর চেয়ে ভাল”। সে আরও বলে “শবে-বরাত নাকি জিনার চেয়েও খারাপ, সুদ ঘুষের চেয়েও খারাপ”। ১নং আসামীর এই বক্তব্য ২নং আসামী রবিউল ইসলাম বোরহান তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করে। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র শবে-বরাতকে চরমভাবে অবমানের মাধ্যমে বাদীর ধর্মীয় বিশ্বাস অনুভ‚তিতে জঘন্য ভাবে আঘাত করেছে তথা বিশ্বের পীর মাশায়েখ, আলেম ওলামা ও সাধারণ মুসলমানগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত করেছেন এবং মুসলমানদের হৃদয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করে। মামলা ফাইলিং করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত হবিগঞ্জ জেলা শাখার আইন সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ জাদিল উদ্দিন আহমেদ, সাথে ছিলেন এডভোকেট মোঃ বদরু মিয়া, এডভোকেট মোঃ আবুল ফজল,এডভোকেট ফয়ছল আহমেদ চৌধুরী, এডভোকেট জেবুন্নেছা চৌধুরী মুক্তা,এডভোকেট শাহ ফকরুজ্জামান, এডভোকেট মোঃ জামাল আহমেদ,এডভোকেট মনির আহমেদ, এডভোকেট দিপু চৌধুরী, এডভোকেট নুরুল ইসলাম চৌধুরী,এডভোকেট আজিজুর রহমান সহ অর্ধশত আইনজীবী শুনানীতে অংশ গ্রহন করেন।

মামলার বাদী পীরে তরিকত শাহজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ আলী বশনী বলেন আসামীরা ইচ্ছাকৃতভাবে জ্ঞাতসারে এই অপরাধ করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।