রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
আইনজীবী না হয়েও গ্রাউন পরে! কোর্টে প্রতারণার অভিযোগ – সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ভিডিও ভাইরাল হবিগঞ্জ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কাফন মিছিল ॥কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী মাধবপুরে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত মাধবপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, শাশুড়ি ও ননদ গ্রেপ্তার আজমিরীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু !! মাধবপুরে পৃথক দুটি স্থান থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার ক্যান্সার টিউমার আক্রান্ত সায়মাকে বাঁচাতে আকুতি দরিদ্র মা-বাবার। প্রেমনগর চা বাগানে শ্রমিক কার্ড বাণিজ্য! ডিজিএমসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ চুনারুঘাটে নিখোঁজের ৭ দিন পর মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার

কোরআনে ইউসুফ (আ.) এর প্রশংসায় যা বলা হয়েছে

মোঃ নুরুজ্জামান রাজু
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৯ বার পঠিত

প্রতীকী ছবি

বনী ইসরাঈলের নবী হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের ১২ সন্তানের একজন ছিলেন হজরত ইউসুফ আ.। সন্তানদের মাঝে ছোট হওয়ায় ইউসুফকে একটু বেশি স্নেহ করতেন নবী ইয়াকুব আ.। মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের কারণে অন্য ভাইয়েরা ইউসুফের প্রতি বাবার স্নেহের বিষয়টি ঈর্ষাকারত দৃষ্টিতে দেখতো।

ঈষার কারণে তারা ইউসুফকে বাবার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিলো। একদিন সব ভাই মিলে খেলারছলে ইউসুফকে বাড়ি থেকে দূরে নিয়ে গেল। এবং খেলার নাম করে এক সময় তাকে কূপে নিক্ষেপ করলো।

ইউসুফ আ.-কে কূপে নিক্ষেপের পর ভাইয়েরা তার বাবা কাছে গিয়ে মিথ্যা গল্প বুনলো। বাবাকে বললো, আমরা খেলার সময় ইউসুফকে বাঘ খেয়ে ফেলেছে আমরা তাকে রক্ষা করতে পারিনি। ইয়াকূব আ.-কে তাদের কথা বিশ্বাস করানো জন্য তারা বাড়িতে যাওয়ার সময় একটি ছাগল জবাই করে ইউসুফের কাপড়ে রক্ত মাখিয়ে নিলো, যেন রক্তমাখা কাপড় দেখে বাবা তাদের কথা সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করে নেন।

ইউসুফ আ.-কে ভাইয়েরা হিংসা করেছিলেন যে কারণে
কোরআনে বর্ণিত ইউসুফ আ.-এর বিশেষ দোয়া
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে যে নবীদের নাম
ভাইয়েরা ইউসুফ আ.-কে কূপে নিক্ষেপ করে চলে যাওয়ার পর একটি ব্যবসায়ী কাফেলা তাকে কূপ থেকে তুলে মিসরের বাজারে বিক্রি করে দিলো।

পরিণত বয়সে আল্লাহ তায়ালা ইউসুফ আ.-কে মিসরের রাজত্ব ও নবুয়ত দান করেছিলেন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে সবিস্তারে বিবরণ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে পূণ্যবান বলে উল্লেখ করেছেন।

সূরা আল-আনআমের ৮৩ থেকে ৮৬ আয়াতে আল্লাহ পাক একই স্থানে পরপর ১৮ জন নবীর নাম উল্লেখ পূর্বক তাঁদের প্রশংসা করে বলেন—

আমি তাদের প্রত্যেককে সুপথ প্রদর্শন করেছি, সৎকর্মশীল হিসাবে তাদের প্রতিদান দিয়েছি এবং তাদের প্রত্যেককে আমরা সারা বিশ্বের উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি (وَكُلاًّ فضَّلْنَا عَلَى الْعَالَمِينَ) (৮৬)। তারা প্রত্যেকে ছিল পুণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত (كُلٌّ مِّنَ الصَّالِحِينَ) -(৮৫)।

ওই ১৮ জন প্রশংসিত নবীর মধ্যে হযরত ইউসুফও রয়েছেন। (সূরা আনআম, ৬/৮৪)।

বর্ণিত হয়েছে—

وَ وَهَبۡنَا لَهٗۤ اِسۡحٰقَ وَیَعۡقُوۡبَ ؕ  کُلًّا ہَدَیۡنَا ۚ  وَنُوۡحًا ہَدَیۡنَا مِنۡ قَبۡلُ وَمِنۡ ذُرِّیَّتِہٖ دَاوٗدَ وَسُلَیۡمٰنَ وَاَیُّوۡبَ وَیُوۡسُفَ وَمُوۡسٰی وَہٰرُوۡنَ ؕ  وَکَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ ۙ ٨٤ وَزَکَرِیَّا وَیَحۡیٰی وَعِیۡسٰی وَاِلۡیَاسَ ؕ  کُلٌّ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ ۙ ٨٥ وَاِسۡمٰعِیۡلَ وَالۡیَسَعَ وَیُوۡنُسَ وَلُوۡطًا ؕ  وَکُلًّا فَضَّلۡنَا عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ ۙ ٨٦ وَمِنۡ اٰبَآئِہِمۡ وَذُرِّیّٰتِہِمۡ وَاِخۡوَانِہِمۡ ۚ وَاجۡتَبَیۡنٰہُمۡ وَہَدَیۡنٰہُمۡ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ

আর আমি তাকে দান করেছি ইসহাক ও ইয়াকূবকে। প্রত্যেককে আমি হিদায়াত দিয়েছি এবং নূহকে পূর্বে হিদায়াত দিয়েছি। আর তার সন্তানদের মধ্য থেকে দাঊদ, সুলাইমান, আইয়ুব, ইউসুফ, মূসা ও হারূনকে। আর আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দেই। আর যাকারিয়্যা, ইয়াহইয়া, ঈসা ও ইলয়াসকে। প্রত্যেকেই নেককারদের অন্তর্ভুক্ত। আর ইসমাঈল, আল ইয়াসা‘, ইউনুস ও লূতকে। প্রত্যেককে আমি সৃষ্টিকুলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। আর (আমি হিদায়াত দান করেছি) তাদের পিতৃপুরুষ, বংশধর ও ভাইদের মধ্য থেকে, আর তাদেরকে আমি বাছাই করেছি এবং তাদেরকে সরল পথের দিকে পরিচালিত করেছি। (সূরা আনআম, আয়াত : ৮৪-৮৭)

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..