প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমা করেছেন, আমরাও ক্ষমা করে দেব। কিন্তু জনগণ কি ক্ষমা করবে? জনগণের দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। জনগণ এও বিশ্বাস করে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সে নির্বাচনে অংশ নেবে না। যারা এখন ক্ষমতায় আছেন গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। একটু ক্ষমা চান। এইদেশ সেইদেশ ঘুরতে হবে না। বাংলাদেশেই থাকতে পারবেন।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। অনুষ্ঠানে কেক কেটে তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন করা হয়।
গয়েশ্বর আরও বলেন, তারেক রহমানের জন্মদিন উদোপনে যতই বাধা দেয়া হচ্ছে আমাদের অনুভূতি আরও বেগবান হচ্ছে। প্রায় ২ যুগ ধরে তাকে নির্বাসিত করার জন্য তার জীবন ও চরিত্র কলুষিত করার চেষ্টটা করা হয়েছে। তবে সব চেষ্টা অপচেষ্টায় ধুলিস্যাৎ হয়েছে। কারণ যে গাছে ফল হয় সে গাছেই মানুষ ঢিল মারে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমান কোথাও কোথাও সমালোচিত হয়েছেন। তবে নিজের কারণে নয়। তাই আমাদেরকে সংযত হতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জন্মদিনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে তারেক রহমানকে অনুভব করছি। সাধারণ মানুষও তার জন্মদিন উদযাপন করছে। তিনি হঠাৎ করেই রাজনীতিতে আসেননি। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন, তারপরও তার উপর মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। প্রতিহিংসার যেন শেষ নেই।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসারের সঞ্চালনায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি আবদুল মালেক, মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।