শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
হবিগঞ্জের শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, অন্ধকারে পুরো জেলা গোপায়া ইউনিয়নে বৃক্ষ রোপন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘোষণা শহরে অভিযান চালিয়ে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবিগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন, পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম হবিগঞ্জ কারাগারে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে নিজেই বন্দি লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা

বানিয়াচংয়ে সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে সাগর দিঘি

বানিয়াচং( হবিগঞ্জ ) প্রতিনিধিঃ
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩
  • ১৬০ বার পঠিত

বানিয়াচংয়ে অবৈধ দখলদারদের দখল আর পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রমে ঐতিহাসিক সাগরদিঘি সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সুপ্রীম কোর্টের রিভিউ শুনানী শেষে সরকারের পক্ষে রায় আসলেই আলোর মুখ দেখতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর্যটন স্পট ঘোষনার বাস্তবায়ন।

স্থানীয় জনসাধারণ ও ঐতিহাসিকদের মতে দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা পদ্মনাভ প্রজাদের জলের কষ্ট দূর করতে দিঘিটি খনন করেছিলেন। রাজা পদ্মনাভের স্ত্রী রাণী কমলাবতীর নামানুসারে স্থানীয়দের নিকট কমলাবতীর দিঘি নামে পরিচিত এই দিঘিটি দেখতে প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটক ভিড় করেন। ৬৬ একর আয়তনের বিশাল এই দিঘীটিকে কেন্দ্র করে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি পর্যটন স্পট করার ঘোষনা দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পরপর দিঘীর চারপারের কতিপয় অবৈধ দখলবাজদের দায়ের করা স্বত্ত্ব মামলার কারনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় নাই।

শুধূ তাই নয়, সাগরদিঘীটি এই দখলবাজ চক্র দীর্ঘদিন অবৈধভাবে লীজ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। যদিও বর্তমানে সরকার লীজ দিয়েছে। সাগরদিঘীর পাড়ের জমি অবৈধভাবে দখল করতে গোটা কয়েকটি পরিবার একতাবদ্ধ হয়ে পাকা সীমানা প্রাচীর তুলে, পাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। এক সময় সাগরদিঘীর চারপাড়ে কোন গাছপালা ও স্থাপনা না থাকায় দিঘীটির প্রকৃত আয়তন, অবস্থান ও সৌন্দর্য দৃশ্যমান ছিল। বর্তমানে পশ্চিম পাড়ের কিছু জায়গা খোলা থাকায় কেবলমাত্র ওই স্থান দিয়ে দিঘী দেখতে হয়। এতে করে পুরো সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়না।

এছাড়া দখলবাজদের গৃহস্থালী কাজের বর্জ্য ও পয়োবর্জ্য সরাসরি ড্রেন দিয়ে ওই দিঘীর পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় পোল্ট্রি খামারিদের গাড়ির বিষ্টা ও নানান রকম ক্ষতিকর বস্তুর ধোয়ামোছার ময়লা-আবর্জনা এই দিঘীর টলটলে জলে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে যখন-তখন। একদিকে দখলদারদের অবৈধ বসবাস করা সহ তাদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। অন্যদিকে তাদেরই কারণে পরিবেশের ক্ষতি সহ দিঘীর সৌন্দর্য্যহানি হচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে সাগরদিঘীর চারপাড়ের বাসিন্দাদের পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম গং বাদী হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে স্বত্ত¡ মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানী শেষে চারপাড়ের বাসিন্দাদের পক্ষে রায় প্রদান করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ ২০০৬ সালে আপীল করে। আপীলের রায় সরকারের পক্ষে আসে। ২০০৭ সালের ১১ অক্টোবর তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা জজ সফিউল্লা এ রায় প্রদান করেন। বাদীপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট চেম্বার জজ আদালতে রিভিশন দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক বাদী পক্ষকে দিঘীর আলো-বাতাস ও পানি ব্যাবহারের অনুমতি দেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ আপীল করলে ২০২২ সালের ২৬ জুলাই মহামান্য হাইকোর্ট ওই আদেশটি বাতিল করে দিঘীটি সরকার পক্ষের ইজারা দিতে বাধা নেই বলে আদেশ প্রদান করেন।

সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের আপীল ডিভিশনে রিভিউ করেন এলাকাবাসীর পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম গং। বর্তমানে দিঘীটি সরকার লীজ প্রদান করেছে। মামলার সাথে জড়িত সরকারের পক্ষের লোকজন মনে করছেন সুপ্রীম কোর্টের চূড়ান্ত রায় সরকার পক্ষের অনুক‚লেই থাকবে। তখন প্রধানমন্ত্রীর আশ^াস বাস্তবায়নে আর কোন বাধা থাকবেনা। ইতিমধ্যে দিঘীর পশ্চিমপাড়ে উপজেলা পরিষদ থেকে একটি দৃষ্টিনন্দন ঘাটলা নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’র সাথে আলাপকালে তিনি জানান, সাগরদিঘীর চারপাড়ের বাসিন্দারা নিজেদের মালিকানার দাবিতে মামলা করেছিলেন। যে কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়ন করা যাচ্ছিলনা। এখন যেহেতু মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে রিভিউ আবেদন শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে সেহেতু, রায় ঘোষনা হলে এবং সরকারের পক্ষে রায় আসলে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়ন কাজ করতে পারবো।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান এ ব্যাপারে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বর্তমানে বানিয়াচংয়ের সাগরদিঘীটি লীজ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বর্তমান সরকারের সময়েই যাতে বাস্তবায়ন করা যায় সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।