বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীরা ইভটিজিং এর স্বীকার প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও সঠিক ব্যাখ্যা হবিগঞ্জের শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, অন্ধকারে পুরো জেলা গোপায়া ইউনিয়নে বৃক্ষ রোপন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘোষণা শহরে অভিযান চালিয়ে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবিগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন, পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম হবিগঞ্জ কারাগারে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে নিজেই বন্দি লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে সম্মিলিতভাবে

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ১০৩৬ বার পঠিত
ফাইল ছবি

ইদানীং পত্রপত্রিকায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের খবর যখন আমাদের আশান্বিত করে তুলছিল, তখন এই ৪৫ জন ছাত্রীর বিয়ের কারণে পরীক্ষায় না বসার খবরটি আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না।

শুক্রবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক খবরে বাল্যবিবাহের কারণে এই ৪৫ জন ছাত্রীর পরীক্ষায় না বসার বিষয়টি জানা যায়। খবর অনুযায়ী, এই ছাত্রীরা যেসব স্কুলে এত দিন পড়ালেখা করে আসছিল, সেসব স্কুলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিয়মিত নানা সচেতনতামূলক সভা করা হয়। শ্রেণিকক্ষে বাল্যবিবাহের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে ছাত্রছাত্রীদের ধারণা দেওয়া হয়। কিন্তু এসব উদ্যোগ যে খুব একটা কাজে আসেনি, ৪৫ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহের শিকার হওয়াই তার প্রমাণ।

তাহলে করণীয় কী? চলতি বছরেই দেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন হয়েছে। তবে ওই আইনের একটি বিশেষ বিধান অনুযায়ী, কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশে এবং পিতা-মাতা বা অভিভাবকের সম্মতিক্রমে বাল্যবিবাহ হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না। হতে পারে এই ৪৫ জন ছাত্রীর অভিভাবকেরা ওই বিশেষ বিধানের সুযোগ নিয়ে তাদের বাল্যবিবাহ দিয়েছেন।

আমরা মনে করি, কোনো অবস্থায়ই বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না। জরুরি ভিত্তিতে এ আইনটি সংশোধন করা হোক। এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তাঁদের জন্য নিয়মিত আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে, যেখানে তাঁরা বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো ও সুশীল সমাজের সদস্যরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারেন।

 বাল্যবিবাহ রোধের পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।