ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (ডব্লিউটিসি) মুম্বাই ও অল ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এআইএআই) উদ্যোগে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী (১৬-১৭ নভেম্বর) ওয়ার্ল্ড ট্রেড এক্সপো। মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রথমবারের মতো এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এ ইভেন্টে ৩৭টি দেশ, ভারতের পাঁচটি রাজ্য সরকার এবং ৩০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. অরুণ কুমার পান্ডা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মুম্বাইয়ের কনস্যুলার কোরের ডিন ড. নরবার্ট রেভাই বেড়ে (হাঙ্গেরির কনসাল জেনারেল), বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সোনিয়া শেঠি, কেভিআইসি-এর চেয়ারম্যান ভিনাই কুমার সাক্সেনা এবং অল ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এআইএআই) প্রেসিডেন্ট ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় কালান্তরি।
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, ভারতে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য সুযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে অধিকসংখ্যক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও সংবাদকর্মীদের কাছে বাংলাদেশের অপার বিনিয়োগ সম্ভাবনা, বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্য ও বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প সম্পর্কে অধিকতর ধারণা প্রদানের মাধ্যমে তাদের বাংলাদেশের ব্যাপারে অধিকতর আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এই এক্সপোতে অংশ নেয়।
এক্সপোতে আমন্ত্রিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের উপস্থিতিতে মুম্বাইয়ে উপ হাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান একটি কান্ট্রি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অপার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
আগত সকল দর্শণার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো থেকে প্রাপ্ত বাংলাদেশের ব্যবসা, বিনিয়োগ ও পর্যটনের ওপর প্রকাশিত স্মারক ও ভিসা প্রদানের যাবতীয় তথ্যাদিসহ বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করা হয়।