বাচ্চু মিয়া। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। রাজধানীর বনানী এলাকায় রিকশা চালান। স্ত্রী-ছেলে-মেয়েসহ ৬ জনের সংসারে একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি তিনিই। রিকশা চালিয়েই সংসার চলে তার। বিগত তিন দিনের উপার্জনের দুই হাজার টাকা দিয়ে কাপড়-বাঁশ-রঙিন কাগজ দিয়ে নৌকা বানিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছেন বাচ্চু মিয়া।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে যখন বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসছেন, তখন বাচ্চু মিয়া মাথায় করে তার বানানো নৌকা নিয়ে একাই এসেছেন সমাবেশস্থলে।
আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা নৌকার লোক। পারিবারিকভাবে আমরা সবাই আওয়ামী লীগ করি। বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনা-আর আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি। আওয়ামী লীগ আমার অন্তরে। আমরা দিন আনি দিন খাই, অভাবের সংসার তবুও আজ রিকশা চালানো বাদ দিয়ে এ সমাবেশে এসেছি।
তিনি বলেন, তিন দিন রিকশা চালিয়ে দুই হাজার টাকা উপার্জন হয়েছে সেই টাকা দিয়ে এ নৌকা বানিয়েছি। আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি বলেই পরিবারের খাওয়ার কথা না ভেবে সব টাকা দিয়েই এ নৌকা বানাতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতি অন্যদের মতো আমারও ভালোবাসা আছে সে কারণে আজ সব কাজ বাদ দিয়ে এ নাগরিক সমাবেশে এসেছি।
আলাপকালে বাচ্চু জানান, জেলা নরসিংদী হলেও বিগত ২৭ বছর ধরে ঢাকায় থাকেন। বনানী এলাকায় রিকশা চালান। পরিবারের ৬ সদস্যর মধ্যে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে তার। রিকশা চালিয়ে উপার্জিত টাকা দিয়েই তার সংসার চলে।
অন্যদিকে মার্কা আছে, নৌকা, নৌকা স্লোগানে নাগরিক সমাবেশে যোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ডস হেরিটেজ ডকুমেন্ট’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
ঢাক-ঢোল, ব্যান্ড পার্টির বাদ্যে মুখরিত হয়ে আছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর হয়ে জাতীয় চার নেতার মাজার প্রাঙ্গণ সংলগ্ন পুরো এলাকা।