রাজশাহীতে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব’।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাসান আদিব, এসএ টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি জিয়াউল গণি সেলিম এবং এসএ টিভির ক্যামেরা পার্সন আবু সাঈদের ওপর থেকে অবিলম্বে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান শাবি প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ।
শনিবার শাহজালাল বিশবিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত ৯ নভেম্বর এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদন এবং ১০ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে ‘রাবি ও রুয়েটে ইয়াবা ব্যবসায় ৪৪ শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মচারী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি ছিল যথেষ্ট তথ্যসমৃদ্ধ ও বস্তুনিষ্ঠ।
কিন্তু প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ কিংবা সত্যতা চ্যালেঞ্জ না করে সাংবাদিকদের হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা দায়েরের ঘটনাই প্রমাণ করে মামলার বাদীরা নৈতিকভাবে কতটা দুর্বল।
মূলত সাংবাদিকদের হয়রানি এবং আইনের আশ্রয় নিয়ে সম্ভাব্য শাস্তি এড়াতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
বাংলাদেশর স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও স্বাধীকার আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পদধারী দু’জন নেতার ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া অত্যন্ত দুঃখজনক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক অধিশাখার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও এসব নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা না নেয়াটা আরও দুঃখজনক।
অবিলম্বে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলা প্রত্যাহার করা এবং নিকৃষ্ট ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় এনে দেশকে মাদকমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।