হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় নির্বাহ ও পরিচালনায় স্বচ্ছতার অঙ্গীকার পুনঃব্যক্ত করা হয়। এর আগে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়েছে।
এ অর্থবছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৬ কোটি ৪ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার প্রদান করবে। বাকি ৩০ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে সংস্থান করা হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট আবর্তক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেতন খাতে ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ভাতা খাতে ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা খাতে ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা, গবেষণা অনুদান খাতে ২১ লাখ টাকা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বাবদ সহায়তা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য অনুদান ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এছাড়া, মোট মূলধন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে যন্ত্রপতি ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, যানবাহন ৯২ লাখ টাকা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুদান ৭০ লাখ টাকা ও অন্যান্য মূলধন অনুদান ৫০ লাখ টাকা।
ছাত্রকল্যাণে মোট ৫৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এর মধ্যে মেধা ও বৃত্তি বাবদ ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ছাত্রী হল বাবদ ১৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা, ফিল্ড ওয়ার্ক ও শিক্ষা সফর বাবদ ৮ লাখ টাকা, খেলাধূলার আয়োজন বাবদ ৫ লাখ টাকা, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট ৫০ হাজার টাকা, ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয় ৪ লাখ টাকা।
গত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ছিল ১৫ কোটি টাকা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে বৃদ্ধির হার ৮.৯৩ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ বলেন, “আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দ্বিতীয়বারের মতো ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, প্রশাসনিক ও একাডেমিক সব কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রয়াস হিসেবে গত অর্থবছর থেকে আমরা বাজেট ঘোষণা শুরু করি।”
তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সাধারণ জনগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থব্যয় সম্পর্কিত বিষয়াদি সম্পর্কে অবগত হতে পারছেন। গত অর্থবছর থেকে সব ক্রয় প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পন্ন হচ্ছে।”
বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আমিন, অর্থ ও হিসাব বিভাগের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোবারক খান প্রমুখ।