হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের ইভটিজিং করা হয় বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড়.কারন বর্তমানে সময়ে ৬ঃ৪০ এ মাগরিবের আজান হয় এ সময়ে ওই তাদের ক্লাস শেষ হয় ক্লাস থেকে বের হতে হতে ৭ টা বেজে যায় তখন প্রায় অন্ধকার হয়ে যায় এরই সুযোগ নেয় বখাটেরা ও ইভটিজাররা। সম্প্রতি একজন লিকেন যে আমাদের বোনেরা নিরাপদ না, আর কতদিন চুপ থাকবো?
হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে এখন মেয়েরা ঠিকভাবে চলতেই পারে না।
প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে ওদের ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে।
সন্ধ্যার সময়, বিশেষ করে দ্বিতীয় শিফটের ছুটির পর চারপাশ একটু অন্ধকার হলেই শুরু হয় ছেলেদের বাজে কথা, অনুসরণ, গা ঘেঁষে যাওয়া… আর প্রথম শিফটের পর আলেয়া মাদ্রাসার সামনের দিকটাও এখন বিপজ্জনক জায়গা হয়ে গেছে।
এসব কারণে অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে, ক্লাসে ঠিকমতো আসতে চাচ্ছে না। এটা কি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশের পরিবেশ হতে পারে?
(সাম্প্রতিক দেখা গেছে হবিগঞ্জের কিছু গ্রুপে এই বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে)
এই প্রেক্ষাপট অনুযায়ী হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের বোনদের হয়রানি হতে দিতে পারিনা।
এভাবে আর চলতে পারে না।
তাই আমরা কিছু স্পষ্ট দাবি তুলছি যেন আর কোনো মেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে।
🔴 আমাদের ৬টি দাবিঃ
১. কলেজের সামনে নিয়মিত পুলিশ প্রহরা চাই
– যাতে ছুটির সময় ও আশপাশে কেউ আর সাহস না পায় মেয়েদের হয়রানি করতে।
২. যারা এসব করছে, তাদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে
– একটা-দুটো উদাহরণ তৈরি হলেই বাকিরা থামবে।
৩. রাস্তার চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো দরকার
– যেন সবকিছু রেকর্ড থাকে, কেউ পার না পায়।
৪. সন্ধ্যার সময় ও আলেয়া মাদ্রাসার সামনের এলাকায় আলাদা নিরাপত্তা জোরদার করা হোক, কারণ এই জায়গাগুলোতেই বেশি ঘটনা ঘটছে।
৫. কলেজ ও প্রশাসন মিলে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম চালাতে হবে, পোস্টার, ক্যাম্পেইন, আলোচনা — যেন সবাই জানে এটা কত বড় সমস্যা।
৬. মেয়েদের জন্য অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে, একটা অভিযোগ বক্স, আর হটলাইন নম্বর — যাতে সহজে সাহায্য চাওয়া যায়।
আমরা এই দাবি গুলো কোনো শখে বলছি না, বলছি, কারণ আমাদের চারপাশটা আর নিরাপদ না।
প্রশাসনের কাছে আমাদের স্পষ্ট অনুরোধ, এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিন যেন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে, নিরাপদে আমাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারি।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে,
মো: তালহা জুবায়ের আরিয়ান।
হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হবিগঞ্জ।