সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
শহরে অভিযান চালিয়ে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবিগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন, পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম হবিগঞ্জ কারাগারে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে নিজেই বন্দি লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা

ইবাদত বন্দেগির কুরআনিক পদ্ধতি

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৯২৫ বার পঠিত
ফাইল ছবি

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এ কথাটি আল্লাহর। অথচ বান্দা তার সুফল লাভে ব্যর্থ। ইবাদত-বন্দেগিসহ দৈনন্দিন জীবনের কোনো কাজেই বান্দাহ মজা পায় না। আল্লাহ তাআলা বান্দার কল্যাণে সমগ্র জাহান সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন সব উপাদান, যা প্রয়োজন নিত্যদিন।বান্দা সব কার্যক্রমের  স্বাদ তখনই পাবে, যখন আল্লাহ প্রদর্শিত পথে সে চলবে।কিভাবে ইবাদতে পরিপূর্ণতা লাভ হবে, বান্দা পাবে পরিপূর্ণ স্বাদ তা জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

এক. আল্লাহকে পূর্ণ ভালোবাসা অর্থাৎ আল্লাহর ভালোবাসা বা আল্লাহ যা ভালোবাসেন তাঁর ভালোবাসাকে অন্য সব বস্তুর ওপর প্রাধান্য দেয়া।

দ্বিতীয়. আল্লাহর নিকট পূর্ণ বিনয়-নম্রতা ও আনুগত্য প্রকাশ করা অর্থাৎ বান্দা আল্লাহ তাআলার আদেশসমূহ পালনের এবং নিষেধাজ্ঞাসমূহ হতে বেঁচে থাকার মাধ্যমে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করবে।

সুতরাং পূর্ণ বশ্যতা, বিনয়-নম্রতা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভয়-ভীতির সঙ্গে পূর্ণ ভালবাসাকে ইবাদত বলে। এইরূপ আমলের মাধ্যমেই বান্দা স্বীয় প্রভূর ভালোবাসা লাভ করে এবং সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়।

আল্লাহ ফরজ বিধি-বিধান পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকে ভালোবাসেন। পাশাপাশি বান্দার নফল ইবাদত যত বেশি বৃদ্ধি পাবে ততই তার নৈকট্য ও মর্যাদা আল্লাহর নিকট বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুনায় এই মাধ্যমই আল্লাহর পক্ষথেকে মুমিন বান্দার নাজাতে উপায়।

আল্লাহ বলেন, `তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে, অত্যন্ত সংগোপনে। তিনি সীমা লংঘনকারীদের ভালোবাসেন না। (সূরা আ`রাফ : আয়াত ৫৫)

আল্লাহ ঘোষণা অনুযায়ী ইবাদত করবে বিনয়ের সহিত গোপনে। গোপনে ইবাদত করার অবস্থা থাকা সত্তেও মানুষ প্রকাশ্যে লোক দেখানোর জন্যও ইবাদত করে। তাই আল্লাহ বলেছেন তোমরা ইবাদতে সীমা লংঘন কর না। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা যখন দোয়া করবে তখন কোনো শব্দ শোনা যাবে না।
ইবাদতে আমাদের করণীয়-
১. ইবাদত গোপনে করতে হবে;
২. ইবাদতে বিনয় থাকতে হবে;
৩. ইবাদতে কাঁদতে হবে।
৪. কান্না না আসলে কান্নার ভান করতে হবে
৫. লোকে আবেদ হিসেবে সম্মান করবে এই নিয়্যত ইবাদত করা যাবে না
৬. প্রত্যেকটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করতে হবে
৭. যা সম্ভব নয় এমন দুআ করা যাবে না। যেমন- নবী হওয়ার দোয়া ইত্যাদি।
৮. নামাজি এমনভাবে নামাজ পড়বে, যাতে পাশে শয়নকারী স্ত্রীও টের না পায়
৯. হাফেজ কুরআন তিলাওয়াত করবে, যাতে অন্য কারও নিকট হাফেজ পরিচিতি প্রকাশ না হয়।

আল্লাহ যেন সমগ্র মানবজাতিকে নিরবে অত্যন্ত গোপনে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করার তাওফিক দান করেন। ইবাদত-বন্দেগিতে যেন আল্লাহ ভয় এবং মহব্বত থাকে। আল্লাহ আমাদের তাঁর শিকানো পদ্ধতিতে তাঁকে স্মরণ করার, সর্ব প্রকার লোক দেখানো ইবাদত-বন্দেগি থেকে হেফাজত করে সঠিক নিয়মে ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করেন। আমিন। জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।