বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
শহরে অভিযান চালিয়ে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবিগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন, পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম হবিগঞ্জ কারাগারে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে নিজেই বন্দি লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা

পটুয়াখালীতে বিদ্যুৎ না থাকায় টর্চের আলোতে অস্ত্রোপচার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৩৭ বার পঠিত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার গোটা পটুয়াখালী জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় এখানকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিও। আর ঠিক এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি মানসুরা বেগমের প্রসব বেদনা ওঠে। যথাসময়ে অপারেশন না করা হলে বিপত্তি ঘটতে পারে-এমন আশঙ্কায় উপায়ান্তর না পেয়ে টর্চের আলোতে অপারেশন করতে বাধ্য হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ওই নারী সুস্থ আছেন। টর্চের আলোতে অপারেশনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (গাইনি বিভাগ) ডাক্তার জাকিয়া সুলতানা বলেন, বাচ্চা জরায়ুতে না হয়ে ডিম্বনালিতে হয়েছে। ফলে ডিম্বনালি ফেটে পেটের ভেতরে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। মানসুরার অবস্থার অবনতি হলে আমরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন হয়ে পড়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান। তাই মোবাইলটর্চের আলোতে অস্ত্রোপচারে বাধ্য হই এবং সফলও হই। তা না হলে রোগীকে বাঁচানো যেত না। বর্তমানে রোগী সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, এটা নতুন নয়, বিদ্যুৎ নিয়ে আমরা প্রায়ই ভোগান্তির শিকার হই। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অস্ত্রোপচারের ছবি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। একাধিক সূত্র জানায়, পটুয়াখালীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ভিআইপিদের বাসায় ডাবল বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। রয়েছে জেনারেটরসহ নানা ব্যবস্থা। অথচ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটিতে আজও বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা হয়নি। এ কারণে রোগীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জানা যায়, এক যুগ আগে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে একটি আধুনিক জেনারেটর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২০ লাখ টাকা। যা আজও বাক্সবন্দি রয়েছে জরুরি বিভাগের পাশে। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন গনজাগরনকে বলেন, ডাবল বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য সব প্রস্তুত আছে। শুধু ঠিকাদারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের মতের অমিল হওয়ায় ডাবল বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি। তবে এ বিষয়ে গণপূর্ত ও বিদ্যুৎ বিভাগ ভালো বলতে পারবে। এক যুগ ধরে জেনারেট বাক্সবন্দি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে অন্য কথা বলেন। পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর রশীদ বলেন, যন্ত্রাংশ জটিলতায় ডাবল বিদ্যুৎ সংযোগ হচ্ছে না। বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, এলে সংযোগটি দেওয়া হবে। জেনারেট চালু না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজ প্রকল্পে তিনটা বিদ্যুৎ সাবস্টেশন চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে স্টেশন নির্মাণ করে জেনারেটর চালু করা হবে। পটুয়াখালী বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে ডাবল বিদ্যুৎ সংযোগ তো অনেক আগেই দেওয়া আছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তুচ্ছ কারণে ব্যবহার করছে না। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রশ্নের সম্মুখীন হলে আমাদের দেখিয়ে দেয়; যা অন্যায়

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।