বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
শহরে অভিযান চালিয়ে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবিগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন, পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম হবিগঞ্জ কারাগারে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে নিজেই বন্দি লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা

হবিগঞ্জে বাণিজ্য মেলা নিয়ে ব্যবসায়ীদের অসন্তোষ

মোহাম্মদ তানবির হোসেন
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩
  • ১৫৩ বার পঠিত

হবিগঞ্জ শহরের নিউফিল্ডে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী শিল্প পণ্য ও বাণিজ্য মেলা। অসময়ে এবারের বানিজ্য মেলা নিয়ে শহরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যবসয়ীরা বলছেন, করোনার পর থেকে এমনিতেই ব্যবসা বানিজ্য মন্দা যাচ্ছে তারপর আবার ঈদুল আযহার আগে মেলার কারণে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এবারের বানিজ্য মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অংশ নিচ্ছে শতাধিক স্টল। ইতোমধ্যে স্টলগুলো তাদের পণ্যের পশরা সাজিয়ে কেনা বেচা শুরু করে দিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, অতীতে যে সকল মেলা হয়েছে সেগুলো ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির পর্যন্ত শেষ হয়। এ ছাড়া বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস অর্থাৎ বর্ষাকালে কখনো বাণিজ্য মেলা হতে তারা দেখেননি। মাত্র কয়েকমাস পুর্বেও একই স্থানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই নিউফিল্ডে শুরু হওয়ায় এ মেলা দ্রুত বন্ধের দাবী তাদের।

এদিকে, মেলার শুরুতেই কসমেটিক্সসহ নানা ধরণের পণ্যে অতিরিক্ত দামসহ নিম্মমানের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা। নুরুন্নাহার নামে এক তরুণী জানান, মেলার পণ্যগুলো খুবই নিম্নমানের। অনেক সময় দেখা যায় কসমেটিকস পণ্যে মেয়াদও থাকে না। একই কথা জানান আফসানা নামে অপর এক কিশোরী। তিনি বলেন, মেলা থেকে আমরা ইচ্ছে করে কসমেটিকসহ নানা পণ্য কিনে থাকি। কিন্তু তার গুণমত মান ভাল থাকে না।

এ বিষয়ে শহরের কালীবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আহমেদ কবির আজাদ বলেন, শহরে বছরের কয়েকটা মেলা হয়। যা ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতি। আমার এলাকায় এমনও ব্যবসায়ী আছে যারা দিনে হাজার টাকাও রুজি করতে পারে না মেলার সময়। বেশির ভাগ কাস্টমারই মেলায় চলে যায়। তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

হবিগঞ্জ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক আহমেদ জামান খান শুভ বলেন, এবারের মেলা নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। ঈদের সামনে রেখে এমন মেলা আমরা মানতে পরছি না। আমরা মনে করি এ মেলার কোন যৌক্তিকতা নেই।

ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ব্যাকস হবিগঞ্জের সভাপতি শামছুল হুদা জানান, শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় বৈচিত্রপূর্ণ কিছ্ইু নেই। কসমেটিক ও নিম্নমানের পণ্য নিয়ে আসা হয়েছে এ মেলায়। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।

এ বিষয়ে মেলার আয়োজক কমিটির পরিচালক সাজিদুর রহমান জানান, আমি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে মেলা পরিচালনায় অনুমিতি পেয়েছি। এটা জাতীয় মহিলা সংস্থার মাধ্যমে হচ্ছে। তাছাড়া আগে পুনাকের মেলা হয়েছিল বানিজ্য মেলা হয়নি। এবার মেলায় প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ২০ টাকা। তবে মেলায় বিদ্যুত সংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুতের জন্য পিডিবিতে আবেদন করা হয়েছে। যদিও মেইন লাইন থেকে অবৈধভাবে সংযোগ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে মেলার আয়োজকদের বিরুদ্ধে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।