বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
শহরে অভিযান চালিয়ে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবিগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন, পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম হবিগঞ্জ কারাগারে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে নিজেই বন্দি লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা

একাধিক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আসামী

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১
  • ১৯৯ বার পঠিত
ফরহাদ আহমেদ বখস (ফাইল ছবি)

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গের কৃষক ফজলু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কৃষক ফজলু হত্যা বিষয় নিয়ে ২০১৫ সালে মামলা দায়ের হলে পুলিশ তদন্ত পূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। বাদী জুবায়ের মিয়া ১৭ জনকে আসামী করে ওই মামলা টি দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ১৪ আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে এবং ৩ আসামি পলাতক থেকে বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন বাদী জুবায়ের মিয়া।

কৃষক ফজলু মিয়ার মরদেহ

বাদীর অভিযোগ হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার শ্রেনীভূক্ত আসামী সাত বছর হলেও অধরা। তারা বীরদর্পে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে অন্যতম আসামী হল, খাগাউড়া গ্রামের সফর উদ্দিন বখসের পুত্র ফরহাদ আহমেদ বখস।  এনিয়ে তাদের পরিবারের মাঝে যেমন বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে তেমনি বিচারের বানী নিরবে কাঁদে। ইতিপূর্বে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের কোর্টের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেছেন। অন্যতায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানাও মালামাল ক্রোক তামিল করতে পারেনি পুলিশ। তবে আসামিদের ধরতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পলাতক আসামী ফরহাদ আহমেদ বখসের পরিবারের সাথে এ বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি আলাপের ফলে তারা জানান, আমাদের ছেলে এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আমাদের জায়গা – সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়া ও রাজনৈতিক কোন্দলের কারণেই আজ হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী হয়ে পরিবার-পরিজন ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাদীপক্ষের লোকজন বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুর করে। এমনকি প্রতিনিয়ত প্রাননাশের হুমকি ও যড়যন্ত্র মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগচ্ছি। এদিকে মামলা ও ভাংচুর লুটপাটে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এখন আমরা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়। এর মধ্যে নিরাপত্তাহীনতায় আছি এমন কথা বলেন আসামীর পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে এদের শীগ্রই গ্রেফতার করা হবে। গা ঢাকা দিয়ে বেশিদিন পালিয়ে থাকা যায় না। পুলিশের খাঁচায় বন্দী হয়ে জেলে ঘাঁটি টানতেই হবে, শুধু সময়ের ব্যাপার।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।