কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি আমাদের রক্ত ফিল্টার করে। কিডনি প্রস্রাব মূত্রাশয়ে প্রেরণ করে। স্বাস্থ্যকর কিডনির ক্ষেত্রে, মূত্রাশয় মাঝে মাঝে খালি হয়ে যায়। যখন কোনো ব্যক্তির কিডনিতে পাথর হয়। তখন এই প্রক্রিয়াটি কঠিন হয়ে যায়। পুরো শরীর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাব আটকে যায়। যার ফলে ব্যথার সৃষ্টি হয়। লবণের খুব বেশি ঘনত্ব থাকলে কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হয়।
ভারতের গাজিয়াবাদের মনিপাল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট নেফ্রোলজিস্ট ডাঃ তীর্থঙ্কর মোহান্তি বলেন, ‘লাইফস্টাইল, জেনেটিক্স এবং আবহাওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। সিএ অক্সালেট, সিএ ফসফেট, ইউরিক অ্যাসিড এবং স্ট্রুভাইট এই ৪টি সর্বাধিক সাধারণ পাথর। জীবনযাত্রার অবস্থার কথা বলতে গেলে, বেশিরভাগ মানুষই পানি কম পান করে থাকে’। এ ছাড়াও, কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যান্য কারণও রয়েছে। অত্যধিক প্রোটিন গ্রহণ, ইউরিক অ্যাসিড, বেশি লবণ গ্রহণ, অন্ত্রের ব্যাধিযুক্ত রোগীদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ডাঃ মোহান্তি আরও বলেন, ‘ব্যাকটেরিয়ার কারণে ঘন ঘন ইউটিআই সমস্যা হলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। খাদ্যাভাসের ওপরেও অনেক সময় এটি নির্ভর করে। আবার কিছু ব্যক্তির মধ্যে কিডনিতে পাথর হওয়ার জিনগত প্রবণতাও দেখা যায়’। এ জন্য, যত সম্ভব কম লবণ খাওয়া উচিত। প্রতিদিন প্রায় ৩ লিটার পানি পান করা উচিত।
ডাঃ মোহান্তি পরামর্শ দেন, “যারা ক্যালসিয়ামযুক্ত লবণ গ্রহণ করেন তারা সাইট্রাস ফল খাওয়ার ফলে উপকৃত হবেন। কারণ এটি প্রস্রাবে সাইট্রেটের মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে। যা কিডনিতে পাথর গঠনে বাধা দেয়। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন’।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া