হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সানাবই গ্রামের সায়েদ মিয়া একজন সিএনজি অটোরিক্সা চালক। মা কাজী ঝর্না আক্তার গৃহিনী হলেও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বি এ পরিক্ষার্থী। দারিদ্রের সাথে লড়াই করলেও সুখের সংসার তাদের। সংসারকে আলোকিত করে ৩ বছর আগে তাদের পরিবারে জন্ম নেয় একটি ছেলে। ছেলের জন্মের দেড় বছরের মাথায় জন্ম নেয় মেয়ে সাইমা ইসলাম। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আনন্দের সীমা নেই তাদের পরিবারে। বাবা সায়েদ মিয়া দিনরাত পরিশ্রম করে সন্তানদেরকে মানুষের মত মানুষ করার জন্য। মা কাজী ঝর্নারও স্বপ্ন লেখাপড়া শেষ করে কোন কাজে নেমে যাবে। কিন্তু তাদের সুখের সংসারে নেমে এসেছে অন্ধকার। দেড় বছরের ফুটফুটে সায়মা ইসলাম আক্রান্ত হয়েছে উইলস টিউমার (ক্যান্সার টিউমার) রোগে। কচি মুখটির সৌন্দর্য্য কেড়ে নিয়েছে এই টিউমার। ডাক্তার ও কবিরাজের কাছে দৌড়া দৌড়ি করে হাতের সব টাকা শেষ। পাওয়া যায়নি কোন আসাবাদ। ডাক্তার বলছেন এই টিউমার অপসারন করতে হলে অস্ত্রোপাচার করতে হবে সায়মা ইসলামের। প্রায় ১০/১২ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে এই অপারেশনে। এই খবরে আকাশ ভেঙ্গে পড়ে সায়েদ মিয়ার মাথায়। নিজের কোন জমি জমাও নেই যে এতটাকা একসাথে মিলাতে পারবেন।
সায়েদ মিয়া বলেন, অন্যের সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া করে চালিয়ে সামান্য যে টাকা পান তা দিয়ে টেনেটুনে সংসার চালাতে হয়। এখন মেয়ের চিকিৎসার জন্য এত টাকা কোথায় পাব।
সায়েদ মিয়ার এই অসহায়ত্বে খবর জানতে পেরে তার পাশে থাকার উদ্যোগ নিয়েছেন হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান,
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির,সদর উপজেলার রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কাজী কামাল উদ্দিন ও রিচি গ্রামের যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও সেবক মোঃ জিতু মিয়া।মোঃ ফজলুর রহমান ও
কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, সমাজের ভিত্তবানরা এগিয়ে আসলে সায়মার জীবন বাচানো সম্ভব হবে। সায়মাকে সাহায্যের জন্য বিকাশ নং ০১৭১৬২৪৮৮৭৬ এবং প্রাইম ব্যাংক হবিগঞ্জ শাখার হিসাবে নং ২১৭৬৩১৯০০৩০২৮এ টাকা প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেন তারা।