শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র দলের কমিটি প্রত্যাহারের দাবি ঢাকা আগামী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাদই নামক স্থানে পড়ে যায় আহত ০১ মাধবপুরে চাচার হাতে ভাতিজী খুন হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজকে সকল প্রকার রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার দাবী

পীরে তরিক্বত হযরত আল্লামা মরহুম শাহ আব্দুল কুদ্দুছ নূরী সাহেবের সহধর্মিণী ও সাংবাদিক শাহ জালাল উদ্দীন(জুয়েল)এর মাতা আলহাজ্ব মখলিছ জান বিবি তালুকদারের দাফন সম্পন্ন।

মোহাম্মদ শাহ্ আলম
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩
  • ১৫৫ বার পঠিত

পীরে তরিক্বত হযরত আল্লামা মরহুম শাহ আব্দুল কুদ্দুছ নূরী সাহেবের সহধর্মিণী ও সাংবাদিক শাহ জালাল উদ্দীন(জুয়েল)এর মাতা আলহাজ্ব মখলিছ জান বিবি তালুকদারের দাফন সম্পন্ন।
গতকাল মঙ্গলবার মরহুমার প্রথম জানাযার নামাজ সকাল ৯ ঘটিকার সময় হবিগঞ্জ ইনাতাবাদ জামে মসজিদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়, এসময় বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যন মাহবুবুর রহমান আওয়াল, ইনাতাবাদ এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী এবং জামে মসজিদের সভাপতি রহিম উল্লাহ সাধারন সম্পাদক নুর উদ্দিন সরকার,মুসলিম ঐক্য পরিষদের সি:যুগ্ম আহ্বায়ক,মো:মিজানুর রহমান চৌধুরী,
সহ গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ। পরে মরহুমার ছোট মেয়ের জামাই হাফেজ মাওলানা সামছুল আলম চৌধুরী মুকিত জানাযায় ইমামতি করেন এবং মরহুমের বড় ছেলে কাজী শাহ মুহিউদ্দিন নূরী মোনাজাত করেন, পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল সংক্ষিপ্ত কথা বলেন।
দ্বিতীয় জানাযার নামাজ শিবপাশা শাহ আব্দুল কুদ্দুছ নূরী দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন নূরী নগর শাহী ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন শরীফ রোয়েল, শিবপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যন নলিউর রহমান তালুকদারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরে মরহুমার মেঝ ছেলে মাওলানা শাহ বাহা উদ্দিন সেলিম জানাযায় ইমামতি করেন এবং শিবপাশা শাহ আব্দুল কুদ্দুছ নূরী দাখিল মাদারাসার সুপার মুফতি আবুল কাশেম সিদ্দিকি সাহেব এবং পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কাজী শাহ মুহি উদ্দিন নূরী, শাহ নুর উদ্দিন নূরী, সাংবাদিক শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল।

বক্তারা বলেন, পীরে তরিক্বত আলহাজ্ব হযরত আল্লামা মরহুম শাহ আব্দুল কুদ্দুছ নূরী সাহেব ছিলেন একজন বড় আলেম এবং পীর সাহেব তেমনি আমাদের জানামতে উনার সধর্মীনিও একজন ফরেজকার, দীনদ্বার এবং পরোপকারী মহিলা ছিলেন যার সুনাম শিবপাশা এবং হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদের জনগন আমাদের বলেছেন উনার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দাফনের কাজ সম্পন্ন করা হয় শিবপাশা বংরাজ বাড়ী নূরী সাহেবর কবরের পাশে।
মৃত্যুকালে উনার বয়স হয়েছে ৮৫ বছর এবং উনার ছয় ছেলে, দুই মেয়েসহ নাতি-নাতনি রেখে যান দুনিয়াতে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।