রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
হবিগঞ্জ কারাগারে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে নিজেই বন্দি লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র দলের কমিটি প্রত্যাহারের দাবি ঢাকা আগামী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাদই নামক স্থানে পড়ে যায় আহত ০১ মাধবপুরে চাচার হাতে ভাতিজী খুন

বাহুবলে দ্বিগাম্বর সিদ্দিকীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার জাফরির বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫
  • ৩২ বার পঠিত

বাহুবল উপজেলার দিগাম্বর সিদ্দিকীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলাম জাফরির বিরুদ্ধে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকাসহ বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, ২০১৬ সালে দিগাম্বর সিদ্দিকীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দানারায়ন গ্রামের চুরত আরীর ছেলে ইউছুফ মিয়ার উপবৃত্তির টাকা জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে উত্তোলন করেন মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলাম জাফরি। উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর বড় ভাই রিপন মিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগের রিসিভ কপি আনার পর তদন্ত হওয়ার আগেই ইউএনও অফিস থেকে উদাও হয়ে যায় অভিযোগপত্র। পরপর তিনবার একই অভিযোগ ইউএনও বরাবর দায়ের করলে তখনকার ইউএনও জসিম উদ্দিন তদন্তের দায়িত্ব দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পর্যন্তই থেমে থাকে তদন্ত। এনিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি মাদ্রাসা কতৃপক্ষের।

এবিষয়ে রিপন মিয়া বলেন, একপর্যায়ে মাদ্রাসা সুপার আমাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন, তাতে আমি রাজি না হয়ে সত্য উদঘাটনে দুদকের গণশুনানি সুপারের বিষয়টি উত্থাপন করি। প্রথমে দুদক আমাকে আসস্ত করলেও পরবর্তীতে সুপারের অবৈধ টাকার কাছে আমার অভিযোগটি আটকে থাকে। ৫ই আগষ্টের পর ন্যায় বিচারক পাওয়ার আশায় আমি আবারো পূর্ণতদন্তের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

দিগাম্বর বাজারের ব্যবসায়ী নুর মিয়াসহ অনেকেই জানান, মাদ্রাসা সুপারের দায়িত্বে রফিকুল ইসলাম জাফরি সাহেব উনার নিজ এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। আমেরিকা প্রবাসী মাদ্রাসার ছাত্রীদের নামাজের জায়গার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তাও গায়েব করে পেলেন সুপার রফিকুল ইসলাম জাফরি। মাদ্রাসার আয় ব্যায়ের কোন হিসাব আজ পর্যন্ত কাউকে দেননি তিনি। এমনকি তিনি বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। আমরা তার অপসারণ সহ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবী জানাই।

এবিষয়ে জানতে মাদ্রাসা সুপার রফিকুল ইসলাম জাফরিকে মুঠোফোনে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গিয়াস উদ্দীন বলেন, মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।