হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার স্থানীয় বুল্লা বাজারে প্রিয়া সাউন্ডের দোকান কর্মচারীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি সহ ২ আসামী কারাগারে। জানা যায় লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামের বাসিন্দা সাগর দাসকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করে মৃতের পিতা সেন্টু লাল দাস বাদী হয়ে (২৪ জুলাই ২০২২) হবিগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত লাখাই থানাকে এফআইআরও নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামের বাসিন্দা সেন্টু লাল দাসের ছেলে সাগর দাস ( ২০) দীর্ঘদিন যাবত বুল্লা বাজারের প্রিয়া সাউন্ড সিস্টেমে কাজ করতো। গত এক দেড় বছরের পাওনা টাকার হিসাব নিকাশের জন্য সাউন্ডের দোকানের মালিক মোর্শেদ মান্নান রিপন, ফরহাদ মিয়া, রবিন মিয়া ও ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে সাগর দাস হিসাব করতে বসে। এসময় সাগর দাসকে পাওনা টাকা কম দিয়ে গালিগালাজ করে বিদায় করে দেওয়ার চেষ্টা করে দোকান মালিক।
সাগর দাস এর প্রতিবাদ করায় গত ১৮ জুলাই উল্লেখিত ব্যক্তিগণ ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন ব্যক্তি মিলিত হয়ে ধারালো ও ভোতা অস্ত্র দিয়ে তার ডান হাতের বগলতলা রক্তাক্ত গভীর জখম, বাম হাতের কনুইয়ে কাটা জখম, পিঠের উপরে ডান ও বাম পাশে ছিলা জখম করে। এসময় প্রচুর রক্ত ক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।ঘটনার পরপরই উল্লেখিত ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । এসময় স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার হাসপাতালে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর প্রধান আসামি সাউন্ডের দোকানের মালিক মোর্শেদ মান্নান রিপন সহ অপর আসামীগন গা ঢাকা দেয় গত ১৭ আগষ্ট হাইকোর্টে হাজির হয়ে মোর্শেদ মান্নান রিপন ও রবিন মিয়া তিন সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পান । অপর আসামী ফরহার মিয়া পলাতক রয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রার জজ আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত দুই আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এ চাঞ্চল্যকর মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট ইকবাল হৌসেন ভুইয়া, এডভোকেট সুফি মিয়া, এডভোকেট আইতুল ইসলাম। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট হাফিজুর রহমান সহ আরো অনেকেই। এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী ইকবাল হোসেন ভুইয়া দুই আসামি হাজতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..