শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল থেকে হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে  তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা আজমিরীগঞ্জে সমিতির দখলকে কেন্দ্র করে দু’ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত ৫০। ৫ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম! শতবষী পাঁচটি কড়ই গাছ কেটে ফেলেছে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ হালাল-হারাম বুঝেশুনে ইবাদত করতে হবে আইনজীবী না হয়েও গ্রাউন পরে! কোর্টে প্রতারণার অভিযোগ – সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ভিডিও ভাইরাল হবিগঞ্জ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কাফন মিছিল ॥কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী মাধবপুরে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত মাধবপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, শাশুড়ি ও ননদ গ্রেপ্তার আজমিরীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু !!

শবে কদর কোন রাতে

মোঃ নুরুজ্জামান রাজু
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫
  • ২৪ বার পঠিত

ধর্ম ডেস্ক

ঠিক কোন রাতে শবে কদর কোরআনে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে কদর যে রমজান মাসে, তার নির্দেশ স্পষ্ট। সুরা বাকারায় বলা হয়েছে, কোরআন রমজান মাসে অবতীর্ণ হয়েছে (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭) এবং সুরা কদর-এ বলা হয়েছে, কোরআন কদর রাতে নাজিল হয়েছে। (সুরা কদর, আয়াত: ১)

 আর এই রাত যে রমজানের শেষ দশকে হবে বলে, তা বহু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এমনকি তা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেও হাদিসে এসেছে। (বুখারি, হাদিস: ২,০২০) এমনকি কোনও হাদিসে আমরা শেষ সাত দিনের কথাও দেখেছি। (মুসলিম, হাদিস: ২,৮২২)

 অনেকে শবে কদর বা লাইলাতুল কদর বলতে কেবল সাতাশের রাতকে বোঝেন। বিশুদ্ধ মত অনুসারে, কদর কেবল সাতাশের রাতে সীমাবদ্ধ নয়। তবে, অন্যান্য রাতের তুলনায় এ রাতের ব্যাপারে প্রবল ধারণা পোষণ করা যায়। কেননা, সাতাশতম রাতে কদর হওয়ার বর্ণনাও রয়েছে। রাসুল (সা.) কদরের জন্য সর্বাধিক সম্ভাবনাময় রাত্রি হিসেবে সাতাশের রাত্রিকে নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেন, যে তা (লাইলাতুল কদর) অনুসন্ধান করবে, সে যেন অনুসন্ধান করে সাতাশের রাতে। এবং তিনি বলেছেন, তোমরা তা অর্থাৎ লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর সাতাশের রাতে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৬৪৭৪)

 এ-সম্পর্কিত অধিক বর্ণনার কারণে সাহাবি উবাই বিন কাব (রা.) শপথ করে বলতেন যে, তা সাতাশের রাতেই ঘটে। (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২২)

তবে একুশের রাত ও তেইশের রাতে লাইলাতুল কদর হয়েছে, এমন প্রমাণও হাদিসে পাওয়া যায়। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমাকে তা এক বেজোড় রাতে দেখানো হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে যে, আমি সে ভোরে কাদা ও মাটিতে সেজদা দিচ্ছি।’ এরপর তিনি একুশের রাতে রাতভর ইবাদত করলেন। তিনি ফজর নামাজের জন্য দাঁড়ানো মাত্র আকাশ ঝেঁপে বৃষ্টি নামল। মসজিদে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পানি পড়ছিল। আমি কাদা ও পানি দেখতে পেলাম। নামাজ শেষে যখন তিনি বের হলেন, তখন তার কপাল ও নাকের পাশে ছিল পানি ও কাদা। সেটি ছিল একুশের রাত। (বুখারি, হাদিস: ২,০১৮)

 আবদুল্লাহ ইবনে আনিস (রা.) বর্ণিত হাদিসে রয়েছে, ‘রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রথমে আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হলেও পরে আমি তা ভুলে যাই। আমাকে দেখানো হয়েছিল যে, সে ভোরে পানি ও কাদায় আমি সেজদা দিচ্ছি।’ বর্ণনাকারী বলেন, তেইশের রাতে আমরা বৃষ্টি স্নাত হলাম, রাসুল (সা.) আমাদের নিয়ে নামাজ আদায় করলেন। বের হওয়ার সময় দেখা গেল, তার কপাল ও নাকে পানি ও কাদার চিহ্ন।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৮৩২)

 বোঝা গেল, অধিকতর সম্ভাবনার দিক দিয়ে প্রথম হলো রমজান মাসের ২৭ তারিখ। দ্বিতীয়: ২৫ তারিখ। তৃতীয়: ২৯ তারিখ। চতুর্থ : ২১। আর পঞ্চম হলো: ২৩ তারিখ।

 বিভিন্ন মতের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, লাইলাতুল কদরকে গোপন করা হয়েছে, এবং শেষ দশের বেজোড় রাতগুলোতে—নির্দিষ্ট এক রাতে নয়, ভিন্ন ভিন্ন রাতে উপস্থিত হয়। মানুষের জন্য আল্লাহ তয়ালার পক্ষ হতে এটা এক বিশেষ দয়া যে, কখনো এক রাতে, কখনো ভিন্ন রাতে কদর হাজির হয়। আমলে আগ্রহী ও উদাসীনদের মাঝে এক সরল পার্থক্য রেখা টেনে দেয়। তিনি দেখতে চান এর বরকত ও ফজিলত লাভের জন্য কে কত প্রচেষ্টা চালাতে পারে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..