রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত সাংবাদিক মারধর এবং পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটকের ঘটনায় বহিষ্কৃত দুই ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন।
সাব্বিরকে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হওয়ায় এবং কাননকে সাংবাদিক মারধরের দায়ে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন-এর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারা দলীয় শৃঙ্খলা বহির্ভূত আর কোনো কাজ করবে না বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি বিবেচনা করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত দুজনের মধ্যে অন্যজনের বহিষ্কারাদেশ বলবৎ রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাস ভাঙচুরের ঘটনার ছবি তুলতে গেলে মারধরের শিকার হন ডেইলি স্টারের রাবি প্রতিনিধি আরাফাত রহমান। এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক মারধরের দায়ে শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননকে বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে, ১৮ জুলাই রাজশাহীর মোহনপুরে ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা (প্রক্সি) দিতে গিয়ে আটক হন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন। ওই ঘটনায় তিনদিন পর ২১ জুলাই সাব্বির হোসেনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।