রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
হবিগঞ্জ কারাগারে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে নিজেই বন্দি লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র দলের কমিটি প্রত্যাহারের দাবি ঢাকা আগামী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাদই নামক স্থানে পড়ে যায় আহত ০১ মাধবপুরে চাচার হাতে ভাতিজী খুন

হবিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের লুটের শিকার এনটিভি প্রতিনিধির বাসা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪
  • ১০৭ বার পঠিত

হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকবৃন্দ এনটিভি প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ চৌধুরীর বাসা পরিদর্শন করেন

দুর্বৃত্তদের আক্রমণ ও লুটতরাজের শিকার হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও এনটিভি প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ চৌধুরীর ক্ষতিগ্রস্ত বাসা পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকবৃন্দ। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে তারা হবিগঞ্জ শহরের টাউন হল রোডস্থ তার ভাড়া বাসায় লুটতরাজের আলামত ও ধ্বংসস্তূপ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। সাংবাদিকরা জানতে পারেন দুর্বৃত্তরা হারুনুর রশিদ চৌধুরীর বাসা থেকে নগদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।

পরিদর্শনকালে এনটিভি প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ৪ আগস্ট বিকেলে কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগের তুমুল সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির ও বর্তমান পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের বাসাসহ আশপাশের কয়েকটি বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই সময় আব্দুল মজিদ খানের ভাড়াটিয়া সাংবাদিক হারুনুর রশিদ চৌধুরীর পরিবারসহ অন্যান্য নিরীহ ভাড়াটিয়ারা আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করেন। তখন হারুনের আত্মীয়-স্বজনসহ বিএনপির লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে তাদের রক্ষা করেন। পরে হারুনুর রশিদ চৌধুরী পরিবার নিয়ে তার ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। ওইদিন রাতে ও পরদিন বিকেলে একদল দুর্বৃত্ত জনশূন্য বাসায় লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ওই বাসায় এসে সাংবাদিক হারুনুর রশিদ চৌধুরীর মালামাল রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকায় ওই কয়েকজন বিএনপিনেতা ও হারুন চৌধুরীর স্বজনরা পিছু হটেন। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা টানা দুদিন নির্বিঘ্নে কয়েকটি বাসায় লুটপাট চালায়।
পরিদর্শন শেষে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এনটিভি প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ চৌধুরীর বাসায় লুটতরাজের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার ও হারুন চৌধুরীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানান।

এছাড়া বিষয়টি জানতে পেরে এনটিভি ইউরোপের সিইও সাবরিনা হোসেন মুঠোফোনে সাংবাদিক হারুনুর রশিদ চৌধুরীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।