হবিগঞ্জ শহরের নিউফিল্ডে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী শিল্প পণ্য ও বাণিজ্য মেলা। অসময়ে এবারের বানিজ্য মেলা নিয়ে শহরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ব্যবসয়ীরা বলছেন, করোনার পর থেকে এমনিতেই ব্যবসা বানিজ্য মন্দা যাচ্ছে তারপর আবার ঈদুল আযহার আগে মেলার কারণে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এবারের বানিজ্য মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অংশ নিচ্ছে শতাধিক স্টল। ইতোমধ্যে স্টলগুলো তাদের পণ্যের পশরা সাজিয়ে কেনা বেচা শুরু করে দিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, অতীতে যে সকল মেলা হয়েছে সেগুলো ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির পর্যন্ত শেষ হয়। এ ছাড়া বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস অর্থাৎ বর্ষাকালে কখনো বাণিজ্য মেলা হতে তারা দেখেননি। মাত্র কয়েকমাস পুর্বেও একই স্থানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই নিউফিল্ডে শুরু হওয়ায় এ মেলা দ্রুত বন্ধের দাবী তাদের।
এদিকে, মেলার শুরুতেই কসমেটিক্সসহ নানা ধরণের পণ্যে অতিরিক্ত দামসহ নিম্মমানের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা। নুরুন্নাহার নামে এক তরুণী জানান, মেলার পণ্যগুলো খুবই নিম্নমানের। অনেক সময় দেখা যায় কসমেটিকস পণ্যে মেয়াদও থাকে না। একই কথা জানান আফসানা নামে অপর এক কিশোরী। তিনি বলেন, মেলা থেকে আমরা ইচ্ছে করে কসমেটিকসহ নানা পণ্য কিনে থাকি। কিন্তু তার গুণমত মান ভাল থাকে না।
এ বিষয়ে শহরের কালীবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আহমেদ কবির আজাদ বলেন, শহরে বছরের কয়েকটা মেলা হয়। যা ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতি। আমার এলাকায় এমনও ব্যবসায়ী আছে যারা দিনে হাজার টাকাও রুজি করতে পারে না মেলার সময়। বেশির ভাগ কাস্টমারই মেলায় চলে যায়। তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
হবিগঞ্জ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক আহমেদ জামান খান শুভ বলেন, এবারের মেলা নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। ঈদের সামনে রেখে এমন মেলা আমরা মানতে পরছি না। আমরা মনে করি এ মেলার কোন যৌক্তিকতা নেই।
ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ব্যাকস হবিগঞ্জের সভাপতি শামছুল হুদা জানান, শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় বৈচিত্রপূর্ণ কিছ্ইু নেই। কসমেটিক ও নিম্নমানের পণ্য নিয়ে আসা হয়েছে এ মেলায়। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
এ বিষয়ে মেলার আয়োজক কমিটির পরিচালক সাজিদুর রহমান জানান, আমি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে মেলা পরিচালনায় অনুমিতি পেয়েছি। এটা জাতীয় মহিলা সংস্থার মাধ্যমে হচ্ছে। তাছাড়া আগে পুনাকের মেলা হয়েছিল বানিজ্য মেলা হয়নি। এবার মেলায় প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ২০ টাকা। তবে মেলায় বিদ্যুত সংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুতের জন্য পিডিবিতে আবেদন করা হয়েছে। যদিও মেইন লাইন থেকে অবৈধভাবে সংযোগ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে মেলার আয়োজকদের বিরুদ্ধে।