রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
হবিগঞ্জ কারাগারে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে নিজেই বন্দি লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র দলের কমিটি প্রত্যাহারের দাবি ঢাকা আগামী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাদই নামক স্থানে পড়ে যায় আহত ০১ মাধবপুরে চাচার হাতে ভাতিজী খুন

হবিগঞ্জ শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক চুরির প্রতিবাদে অর্ধদিন প্রধান সড়ক অবরোধ।

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪
  • ১৩৪ বার পঠিত

হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক চুরির প্রতিবাদে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কে প্রায় ৪ ঘন্টা যাবত যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, ইদানিং শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘনঘন চুরি সংঘটিত হয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হলেও কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন পুলিশের যোগসাজশে এসব চুরি সংঘটিত হচ্ছে। 
শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের টাউনহল এলাকার মোবাইল ফোনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গেজেট হবিগঞ্জে চুরি সংঘটিত হয়। চোরেরা নগদ টাকা, মোবাইলসহ প্রায় ও ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিজে যায়।
এর প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টা থেকে শহরের প্রধান সড়ক টাউন হল এলাকায় রাস্তায় বসে অবরোধ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা। ফলে প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধে প্রায় ৪ ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। ফলে শহরজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
ব্যবসায়ীরাই অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির সংঘটিত হলেও পুলিশ কোন ভূমিকা পালন করছে না। ফলে বাধ্য হয়েই ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমেছেন।

গেজেট হবিগঞ্জ প্রতিষ্টানের স্বত্বাধিকারী আরাফাত চৌধুরী জানান, আমার দোকান এখন পর্যন্ত ৩ বার চুরি হয়েছে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান যদি ৩ বার চুরি হয়, তাহলে আর কিভাবে আমার ব্যবসায় করব। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাদের এই অবরোধ নিয়ে মশকারি করে বলেন “ওরা যখন ক্লান্ত হবে এমনিতেই রাস্তা ছেড়ে চলে যাবে”। এসব চুরি বন্ধ ও অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানের দাবি জানান।
একই দাবিতে আগামীকাল দুপুর ১২টায় বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর দেওয়ান জানান, এ পর্যন্ত গেজেট হবিগঞ্জ ব্যবসায় প্রতিষ্টানটি ৩ বার চুরি হয়েছে। পুলিশ কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়াতে শহর জুড়ে চুরি বেড়েছে। তিনি জানান, রোজাদার ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে আমাদের আজকের মতো অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, একই স্থানে আগামীকাল দুপুর ১২ টা থেকে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।