দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ শুরু হচ্ছে ৬ ডিসেম্বর। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পঞ্চম বারের মত এটি আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ আয়োজনের বিস্তারিত জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড প্রতি বছর তিন দিন করে হলেও এবার আইটি সংশ্লিষ্টদের দাবির প্রেক্ষিতে উৎসব চার দিনব্যাপী করা হয়েছে। এছাড়া এবারের উৎসবে গত ৯ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে আগতরা জানতে পারবেন আমাদের আইসিটি খাত কতটা উন্নতি করেছে।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডকে সফল করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ৭০ জন বিদেশি এবং শতাধিক স্পিকার ২৯টি সেশনে অংশ নেবেন। এতে গুগল, ফেসবুক, নুয়ান্স, অ্যাংরিবার্ড, কোয়ালকম এবং মটোরোলাসহ পৃথিবীর শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের আওতায় আনা হচ্ছে। ফলে কানেকটিভিটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ২৮টি হাইটেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। আইসিটি খাতে ২০০৮ সালে রফতানি আয় ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। নয় বছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়নে। বর্তমানে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে তথ্যপ্রযু্ক্তি সেবা।
৬-৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী প্রতি দিন সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। এতে প্রবেশের জন্য কোনো ফি লাগবে না। তবে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের স্লোগান ‘রেডি ফর টুমরো’। উৎসবের বাজেট ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকারসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।