পাঁচজনে একজনের বেশি নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। নমুনায় চার হাজারের বেশি নারীকে রেখে গবেষণা করে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, হয়রানির শিকার এ নারীদের অধিকাংশকেই অনলাইনে হেনস্থা করা হয়েছে। অর্ধেকের বেশি ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তাদেরকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। এক-চতুর্থাংশ নারীরা শারীরিক কিংবা যৌনতা-সংক্রান্ত হুমকি পেয়েছেন।
জরিপে দেখা যায়, হয়রানির শিকার ৬০ শতাংশ নারী বর্ণবার্দী আচরণ, যৌন হয়রানি কিংবা সমকামিতার প্রস্তাব-হুমকি পেয়েছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রযুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক গবেষক অাজমিনা ধরদিয়া জানান, ‘নারীদের জন্য ইন্টারনেট ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক স্থান হতে পারে। নারীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে এ জরিপের ফলে দেখা যাচ্ছে, ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে নারীদের সঙ্গে কী ধরনের বৈরি আচরণ করা হচ্ছে।’
পশ্চিমাবিশ্বের আটটি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে এ গবেষণার ফলাফলে বলা হচ্ছে, অনলাইনে হয়রানির ফলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে।
হয়রানির শিকার নারীদের ৪১ শতাংশ প্রতিদিনের কাজকর্মে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনকি চারজনে একজন নিজের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বেশিরভাগ নারীই জানিয়েছেন, হয়রানির শিকার হওয়ার পর থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করার ব্যাপারে আতঙ্কে আছেন তারা।