রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুমকি ॥ হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবীতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি বাহুবলে দ্বিগাম্বর সিদ্দিকীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার জাফরির বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ হবিগঞ্জে অর্ধকোটি টাকার মালামাল ও যানবাহন আটক করেছে বিজিবি হবিগঞ্জে শিশুসহ ২২ জনকে  পুশইন করেছে বিএসএফ মাধবপুরে চারটি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা কমিটির বহিস্কৃত নেতা সাকিবসহ ৪জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা বাহুবলে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত অর্ধশত হাইকোর্ট এর রায় কে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অবস্থান সমাবেশ মানুষের কর্মপ্রচেষ্টা ও পরিণতির পথ হবিগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৩০

নবীগঞ্জে ঝাড়ফুকের নামে চলছে রমরমা বাণিজ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফাষ্টবাংলাটোয়েন্টিফোর.কম
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৬৮ বার পঠিত

পারভীন বেগম উপজেলার কাজিরগঞ্জ বাজারস্থ তহশীল অফিসের অফিস সহায়ক। বাড়ি সদর ইউপির মুরাদপুর গ্রামে। স্বামীর বাড়ী বানয়িাচং উপজেলার উমরপুর গ্রামে হলেও বর্তমানে রসুলগঞ্জ বাজারের পাশে নতুন বাড়ি করে এখানেই বসবাস করে আসছেন দুজন। সরকারি চাকুরীর পাশাপাশি পারভীন ঝাড়ফুক করে নবীগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত গরীব অসহায় লোকজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এখানে তিনি তার স্বামী লুৎফর রহমানসহ এলাকার কতিপয় অসৎ লোকজনের সহায়তায় গড়ে তুলেছে এক সিন্ডিকেট। ওই বাড়িতে কয়েকজন যুবতীও রয়েছে যারা পারভীনের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কাজীরবাজার তহশীল অফিসের অফিস সহায়ক পারভীন বেগম সরকারি চাকুরির পাশাপাশি র্দীঘ দিন ধরে ঝাড়ফুকের নামে চালিয়ে যাচ্ছে গরীব অসহায় লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যবসা। পারভীনের হঠাৎ পরিবর্তন দেখে এলাকার মানুষ হতভম্ভ। কৌতুহল জাগে মানুষের মাঝে। প্রতিদিন আনাগোনা ঘটে অপরিচিত লোকজনদের। হাতে পানির বোতল নিয়ে মানুষের আনাগোনায় আগ্রহ বেড়ে যায় দেখার জন্য। তখনই এলাকায় জানাজানি হয় পারভীন বেগম গায়েবী কি পেয়েছেন। মানুষজন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গেলে পানি পড়ে দিলেই অনেক জটিল সমস্যা ভাল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে স্থানীয় একটি দালাল চক্র রয়েছে তার এই অপর্কমের নেপেথ্যে। তাদের কাজ হলো আগত লোকদের উৎসাহিত করা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সরজমেিন দেখার জন্য রোগী সেজে যাওয়া হয় কবিরাজ পারভীন বেগমের বাড়িতে। বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা হয় পারভীন বেগমের সাথে। এক পর্যায়ে পারভীন বেগম জানতে পারনে সাংবাদিক। জানার পরেই রেগে যান কবিরাজ পারভীন। তিনি হুংকার দিয়ে বলেন, পুলিশ আসলেও ওয়ারেন্ট এর কাগজ নিয়ে আসতে হবে। তারা তো সরকারী লোক। পড়নে সরকারী পোষাক থাকে। আপনারা তো সাংবাদিক সরকারী লোক না। কোন সাহসে আসলেন। এমন অসংখ্য কথার গ্যাড়াকলে কোন তথ্য দিতে আগ্রহ হননি তিনি। এ সময় দেখা যায় স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু দালাল তার আস্তনায় বসা। গ্রামের সহজ সরল বিপদগামী মানুষজন নানা সমস্যা নিয়ে হাজির। প্রায় শতাধিক লোক হবে। প্রথমেই লোকজন রোগীর নাম ১০ টাকা দিয়ে খাতায় এন্টি করতে হয়। তার পর শুনা হয় তার সমস্যার কথা। সব শেষে ২০ টাকার পানরি বোতল ৪০ টাকায় তেলের বোতল তার কাছ থেকে খরিদ করে দেয়া হয় কবিরাজ পারভীনের হাতে। তিনি ঝাড়ফুক দিয়ে পানির বোতল হাতে দিয়ে বিদায় করেন। চিকিৎসা বাবদ কোন টাকা পয়সা না নিয়ে কৌশলে আদায় করছেন হাজার হাজার টাকা। তার আস্তানায় রাখা একটি দান বাক্সে যার যার মতো করে দান করে টাকা-পয়সা। এভাবেই প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কবিরাজ পারভীন বেগম। এর একটি অংশ স্থানীয় দালালদরে মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়। এ সময় জানা যায়, উক্ত কবিরাজ পারভীন বেগম উপজেলার ২নং বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের কাজিরগঞ্জ বাজারস্থ তহশীল অফিসে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত আছেন। উক্ত পারভীন বেগমের বাড়িতে গড়ে রোগী হয় ২ থেকে ৩ ‘শত জন। এন্টি ফিস ১০টাকা করে হলে ২/৩ হাজার টাকা। পানির বোতল বাবদ ব্যবসা হয় ৬/৭ হাজার টাকা। দানবাক্সে দেয়া অনুযায়ী আরও ৮/১০ হাজার টাকা। প্রায় ২০/৩০ হাজার টাকা আয় হয় উক্ত কবিরাজের। এ ব্যবসায় রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হতে যাচ্ছে কতিথ কবিরাজ পারভীন বেগম। এতে লাভবান হচ্ছে স্থানীয় দালালরাও। পারভীন বেগমের এসব অপকর্মের সহযোগতিা করে আসছে কতিপয় শ্রমিক নেতা। এমন অভিযোগও রয়েছে।
পারভীন বেগমের এসব অপকর্মের সহযোগিতা করে আসছেন কতিপয় শ্রমিক নেতা এমন অভিযোগও রয়েছে। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। কেউ প্রতিবাদ করলেও উল্টো ফাসাঁনোর হুমকী দেয়া হয় তাদের। সপ্তাহে দু’দিন রোগী দেখেন তিনি। শনি ও মঙ্গলবার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তার আস্তানায় রোগীদের উপচে পড়া ভীড়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..