গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখাকালে মধ্যে কয়েক দফায় অসংখ্যবার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ‘এক ঘণ্টার মধ্যে ৭/৮ বিদ্যুৎ গেছে। একেবারে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিয়ে গেলে তাও এক সান্ত¡না। ’ জানা যায়, বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর পাশাপাশি আবাসিক এলাকাগুলো বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়েছে। আবাসিক এলাকাগুলোতে বিভ্রাট তুলনামূলক বেশি হচ্ছে। এতে গরমে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া ঝোড়ো বাতাস কিংবা বৃষ্টি হলেই নগর বিদ্যুত হয়ে পড়ে। অন্ধকারে ডুবে যায় পুরো শহর। কদিন ধরে বিদ্যুতের ভেল্কিভাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে হবিগঞ্জ শহরবাসীর জনজীবন। হঠাৎ বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতিতে জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীরা। এর মধ্যে গত সপ্তাহখানেক ধরে ধরে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে দুর্ভোগের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাতেও চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি। শহরের শায়েস্তানগর, মোহনপুর, রানজনগর, ২নং পুল, পইল রোড, মাহমুদাবাদ, অনন্তপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুত নেই। আবার কোনো কোনো স্থানে বিদ্যুত এলে লো বোল্ডেজের কারণে ইলেক্ট্রিক সামগ্রী বিকল হয়ে গেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ বারবার ফোন দিয়েও পিডিবির অফিস থেকে উত্তর মিলেনি। আবার কেউ কেউ রিসিভ করে বলেন লোক যাচ্ছে মেরামত করতে। কিন্তু ৪/৫ ঘন্টা পার হলেও লোকের খবর পাওয়া যায় না। এ ভাবেই চলছে হবিগঞ্জে বিদ্যুতের গ্রাহক সেবা। এসব বিষয়ে হবিগঞ্জ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘ফিডারে সমস্যা হওয়ায় কিছু অঞ্চলে অল্প সময়ের জন্য ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ’ সেটিং এলোমেলো হওয়ার কারণে এটা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘কাজ চলছে। কাজ হয়ে গেলে এ সমস্যা আর থাকবে না। ’