হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গের কৃষক ফজলু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কৃষক ফজলু হত্যা বিষয় নিয়ে ২০১৫ সালে মামলা দায়ের হলে পুলিশ তদন্ত পূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। বাদী জুবায়ের মিয়া ১৭ জনকে আসামী করে ওই মামলা টি দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ১৪ আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে এবং ৩ আসামি পলাতক থেকে বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন বাদী জুবায়ের মিয়া।
বাদীর অভিযোগ হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার শ্রেনীভূক্ত আসামী সাত বছর হলেও অধরা। তারা বীরদর্পে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে অন্যতম আসামী হল, খাগাউড়া গ্রামের সফর উদ্দিন বখসের পুত্র ফরহাদ আহমেদ বখস। এনিয়ে তাদের পরিবারের মাঝে যেমন বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে তেমনি বিচারের বানী নিরবে কাঁদে। ইতিপূর্বে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের কোর্টের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেছেন। অন্যতায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানাও মালামাল ক্রোক তামিল করতে পারেনি পুলিশ। তবে আসামিদের ধরতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পলাতক আসামী ফরহাদ আহমেদ বখসের পরিবারের সাথে এ বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি আলাপের ফলে তারা জানান, আমাদের ছেলে এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আমাদের জায়গা – সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়া ও রাজনৈতিক কোন্দলের কারণেই আজ হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী হয়ে পরিবার-পরিজন ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাদীপক্ষের লোকজন বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুর করে। এমনকি প্রতিনিয়ত প্রাননাশের হুমকি ও যড়যন্ত্র মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগচ্ছি। এদিকে মামলা ও ভাংচুর লুটপাটে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এখন আমরা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়। এর মধ্যে নিরাপত্তাহীনতায় আছি এমন কথা বলেন আসামীর পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে এদের শীগ্রই গ্রেফতার করা হবে। গা ঢাকা দিয়ে বেশিদিন পালিয়ে থাকা যায় না। পুলিশের খাঁচায় বন্দী হয়ে জেলে ঘাঁটি টানতেই হবে, শুধু সময়ের ব্যাপার।