বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করে নগ্ন ভিডিও ধারণের পর ব্ল্যাকমেইল করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করার দায়ে বেসরকারি আশা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার আশরাফুল হক চৌধূরী ওরফে তানভীর চৌধূরীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
গতকাল (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেওয়া এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
ইউজিসির ওই আদেশের পরই আশা ইউনিভার্সিটির সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা শায়লা আফরিনের স্বাক্ষরিত এক জরুরি নোটিশে রেজিস্ট্রারকে সব কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
ওই সময় ছাত্রীদের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে শারীরিক সম্পর্ক বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া যায়। কোনো ছাত্রী তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে রেজিস্ট্রেশন এবং সার্টিফিকেট আটকে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়।
এর সপ্তাহ-খানেক পর গত ১৯ অক্টোবর ‘এবার রেজিস্ট্রারের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল’ শিরোনামে আরেকটি খবর প্রকাশিত হলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপরই রেজিস্ট্রারের এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে খোঁজ নেওয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ইউজিসির জনবল প্রশাসন বিভাগের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বাথরুমে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে ছাত্রীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ করার মতো গুরুতর অভিযোগের আমরা প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। আমরা ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়টিকে চিঠি দিয়ে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেই।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট কমিটি আছে। যেটার প্রধান আমি নিজেই। আমরা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী রোববার (৩০ অক্টোবর) ঘটনা তদন্ত করে দেখব। ওইদিন আমরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকেও থাকতে বলেছি। আমরা তদন্ত করার পর রিপোর্ট জমা দেব। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..