হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাতির ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রাপাতিসহ আন্ত:জেলা ডাকার দলের দুই ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপপরিদর্শক ( এসআই) ছদরুল আমীন, এসআই দেলোয়ার হোসেন, এএসআই মনির হোসেন, এএসআই উত্তম কুমার ঘোপ সহ একদল পুলিশ দেওরগাছ ইউনিয়নের অন্তর্গত বনগাঁও জনৈক শামছু মিয়ার পরিত্যক্ত ব্রীক ফিল্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন।
আটকৃতরা হলো, চুনারুঘাট উপজেলার নয়ানী গ্রামের তাউছ মিয়ার পুত্র মোঃ বিল্লাল মিয়া(৩২) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আসেরা পুর্ব এলাকার বাজীদ আলীর পুত্র মোঃ সোহেল রানা(৩৮)।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সহযোগী একদল ডাকাত পালিয়ে যায়। চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক গতকাল রাতে আসামী আটকের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২৩ মে ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় বনগাও অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র ডাকাতদল ডাকাতির উদ্দেশ্যে পূর্ব প্রস্ততিকালে তিনি এবং এসআই ছদরুল আমীন সহ আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কতিপয় লোক দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া করে বিল্লাল ও সোহেল রানা নামের ২ ডাকাতকে আটক করে এবং অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের কাছ থেকে একটি ডেগার, একটি লোহার শাবল, তিন টি লম্বা রামদা, একটি লাঠি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহ্নত একটি অটোরিকশা সিএনজি উদ্ধার করে জব্দ করেন ।
তিনি জানান, আটক দুই ডাকাত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগী ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। এবং গ্রেফতারকৃত আসামী বিলাল মিয়ার নামে চুনারুঘাট সহ হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতি সহ প্রায় ডজনখানেক মামলা এবং গ্রেফতারকৃত অপর আসামী সোহেল রানার নামে ৫ টি মামলা রয়েছে। আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্ততির মামলা রুজু হয়েছে বলেও ওসি রাশেদুল হক জানান।