হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকবৃন্দ এনটিভি প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ চৌধুরীর বাসা পরিদর্শন করেন
দুর্বৃত্তদের আক্রমণ ও লুটতরাজের শিকার হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও এনটিভি প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ চৌধুরীর ক্ষতিগ্রস্ত বাসা পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকবৃন্দ। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে তারা হবিগঞ্জ শহরের টাউন হল রোডস্থ তার ভাড়া বাসায় লুটতরাজের আলামত ও ধ্বংসস্তূপ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। সাংবাদিকরা জানতে পারেন দুর্বৃত্তরা হারুনুর রশিদ চৌধুরীর বাসা থেকে নগদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
পরিদর্শনকালে এনটিভি প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ৪ আগস্ট বিকেলে কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগের তুমুল সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির ও বর্তমান পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের বাসাসহ আশপাশের কয়েকটি বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই সময় আব্দুল মজিদ খানের ভাড়াটিয়া সাংবাদিক হারুনুর রশিদ চৌধুরীর পরিবারসহ অন্যান্য নিরীহ ভাড়াটিয়ারা আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করেন। তখন হারুনের আত্মীয়-স্বজনসহ বিএনপির লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে তাদের রক্ষা করেন। পরে হারুনুর রশিদ চৌধুরী পরিবার নিয়ে তার ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। ওইদিন রাতে ও পরদিন বিকেলে একদল দুর্বৃত্ত জনশূন্য বাসায় লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ওই বাসায় এসে সাংবাদিক হারুনুর রশিদ চৌধুরীর মালামাল রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকায় ওই কয়েকজন বিএনপিনেতা ও হারুন চৌধুরীর স্বজনরা পিছু হটেন। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা টানা দুদিন নির্বিঘ্নে কয়েকটি বাসায় লুটপাট চালায়।
পরিদর্শন শেষে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এনটিভি প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ চৌধুরীর বাসায় লুটতরাজের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার ও হারুন চৌধুরীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানান।
এছাড়া বিষয়টি জানতে পেরে এনটিভি ইউরোপের সিইও সাবরিনা হোসেন মুঠোফোনে সাংবাদিক হারুনুর রশিদ চৌধুরীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।