শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র দলের কমিটি প্রত্যাহারের দাবি ঢাকা আগামী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাদই নামক স্থানে পড়ে যায় আহত ০১ মাধবপুরে চাচার হাতে ভাতিজী খুন হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজকে সকল প্রকার রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার দাবী

ইবিতে আসন প্রতি লড়াই ৩৯ জনের

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৬৪০ বার পঠিত
ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শেষ হয়েছে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৩৯ জন ভর্তিচ্ছু ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা গেছে।

এ বছর মোট ২২৭৫টি আসনের বিপরীতে ৮৭ হাজার ৩৮৮ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি সূত্রে আরও জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ গত ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গতকাল ১৯ নভেম্বর শেষ হয়।

ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এছাড়া ইউনিট ভিত্তিক হিসেবে দেখা গেছে ‘এ’ ইউনিটে ২৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২০৮২ জন।

‘এ’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে ৯ জন। ‘বি’ ইউনিটে ৪২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৪ হাজার ৩৯৮ জন। ‘বি’ ইউনিটে একটি আসনের জন্য লড়বে ৩৬ জন ভর্তিচ্ছু।

‘সি’ ইউনিটে ৩৭৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৭ হাজার ৪৩৫জন। এই ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেবে ৪৭ জন শিক্ষার্থী। ‘ডি’ ইউনিটে ২৫০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৬ হাজার ৬৪৬ জন। এই ইউনিটে প্রতি আসনের জন্য লড়বে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৬৭ জন শিক্ষার্থী।

‘ই’ ইউনিটে ২০০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১২ হাজার ৯৬৬ জন। প্রতি আসনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৬৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেবেন এই ইউনিট থেকে।

‘এফ’ ইউনিটে ১০০ আসনের বিপরীতে ৩ হাজর ৭৫৯ জন আবেদন করেছেন। এই ইউনিটে একটি আসনের বিপরীতে ৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

‘জি’ ইউনিটে ৪৫০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯ হাজার ১১৮ জন। এতে প্রতি আসনে লড়বে ২১ জন ভর্তিচ্ছু। ‘এইচ’ ইউনিটে ২৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১০ হাজার ৭৩১ জন ভর্তিচ্ছু। এইচ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেবেন ৪৫ জন শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মাধ্য দিয়ে দেশসেরা মেধাবীদের ভর্তির মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।