চুনারুঘাট থেকে গত ৪ দিনে ৪ শিশু নিখোঁজ হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া শিশুদের বয়স ৮ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। হারিয়ে যাওয়া শিশুর বিষয়ে অভিভাবকরা থানায় ডায়রী করে যাচ্ছেন কিন্তু শিশু উদ্ধারে প্রশাসনিক কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। ঘন ঘন শিশু নিখোঁজের ঘটনায় পুরো উপজেলা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা আলোচনা-সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, নিখোঁজের বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
গত ২২ অক্টোবর চুনারুঘাট পৌর শহরে অবস্থিত বাসা থেকে বের হলে লিজা আক্তার নামের এক শিশু নিখোজ হয়। লিজা আমকান্দি গ্রামের কবির মিয়ার কন্যা। সে চুনারুঘাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শেনীর ছাত্রী। এ নিয়ে ২৬ অক্টোবর থানায় সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। গত বুধবার শানখলা ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার পুত্র আল আমিন নিখোঁজ হয়। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ে। একই দিন দেওরগাছ গ্রামের ফরিদ মিয়ার পুত্র তানভীর (৮) নিখোঁজ হয়ে যায়। সে একটি মাদ্রাসার ছাত্র। এদিকে সীমান্ত ইউনিয়ন গাজীপুরের বাসুল্লা গ্রাম থেকে ১০/১২ বছরের এক শিশুকে মতিভ্রম অবস্থায় উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসি। সে একেক বার একেক নাম ঠিকানা বলে যাচ্ছে।
এলাকাবাসিরা বলেন, এর আগেও বহু শিশু চুনারুঘাট থেকে হারিয়ে গেছে। ২/৩ মাস পর কোন কোন শিশু বাড়ি ফিরেছে বিপর্যস্ত অবস্থায়। অনেকের কোন সন্ধানই মেলেনি। ঘন ঘন শিশু নিখোজের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাফ বলেন, পুলিশের একাধিক টিম এ নিয়ে তদন্ত করছে। আশা করা যায় অতি দ্রত এর সমাধান করা যাবে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..