পরিবারের লোকজন। ৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার একটি দালাল চক্রের অপকর্মের অভিযোগে এক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিবরণ জানা যায়।
হবিগঞ্জ পৌরসভার অনন্ত পুর এলাকার খাঁন জাহান আলী স্বপন (২৩) নামের এক যুবককে দুবাইয়ে চাকরী দেয়ার প্রলোভনে বিদেশের দুবাই নিয়ে ভিসা- একামা লাগিয়ে কাজে দেয়ার কথা বলে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। যুবকের সাথে অসদাচরণের ও অভিযোগ উঠেছে। দালাল চক্রের, বিষয় টি নিয়ে ৪নং পইল ইউপির চেয়ারম্যান সৈয়দ মইনুল হক আরিফের সভাপতিত্বে বার- কয়েক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সালিশের রায় মেনে নিয়েও দালাল চক্র। সালিশের প্রতিবৃদ্ধাঙ্গুল প্রর্দশন করে। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দালালসহ চুনারুঘাটের ৪ প্রতারকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই যুবকের মামা মীর আব্দুল কাদির বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামি করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলাটি আদালত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। মামলার আসামিরা হলো, চুনারুঘাট উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের আব্দুল শহিদ ওরপে শহিদ মিয়ার পুত্র খলিলুর রহমান (৩৫), তার ভাই দুলাল মিয়া (৪০), মৃত আব্দুন নুরের পুত্র শহিদ মিয়া (৬৫), মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র আক্তার মিয়া (৪০), সদর উপজেলার পইল পশ্চিম পাড়া গ্রামের ইলিয়াছ মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (২৮)।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, খলিলুর রহমান ও দুলাল মিয়া দুই ভাই দুবাই থাকার সুবাদে তাদের পিতা শহিদ মিয়া দেশে লোকজন সংগ্রহ করে বিদেশ পাঠিয়ে থাকেন। বাদীর আত্মীয়ের মাধ্যমে শহিদ মিয়ার সাথে পরিচয় হয়। এদিকে বাদির ভাগ্নে খাঁন জাহান আলী স্বপন বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে আত্মীয়তার সূত্রে আসামিরা বাদিকে প্রস্তাব দেয় তার ভাগ্নেকে ফলের আড়তে প্যাকেটিং এর কাজে দুবাই পাঠাতে পারবে, সেখানে তার মাসিক বেতন হবে ৩৫ হাজার টাকা এবং ভিসার মেয়াদ দুই বছর। এ জন্য খরচ দিতে হবে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। গত ৫ ও ১১ এপ্রিল দুই দফায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে ১৩ এপ্রিল দুবাই পাঠায় এবং খলিল ও দুলাল তাকে রিসিভ করে। ১৫ দিন তাদের এখানে রাখার পরও কোনো চাকরির ব্যবস্থা বা কাজ দেয়া হয়নি। একপর্যায়ে তার ভাগ্নে তাদের চাপ দিলে আসামিরা তাকে ঘর থেকে বের করে দেয় এমনকি অসাধারণ করে। প্রবাসে অসহায় অবস্থায় তার ভাগ্নে রাস্তার পাশে, গাছতলায় থেকে রাত্রী যাপন করতে থাকে। দুবাইয়ে থাকা অন্য প্রবাসী ও পরিচিতজনদের অনুগ্রহে এখনো সে দুবাইয়ে আছে। কিন্তু তাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। উল্টো গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভিকটিম খাঁন জাহান আলী স্বপনকে বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য দুলাল মিয়া আরও ২ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু অদ্যাবদি কোনো চাকরির ব্যবস্থা করা হয়নি। আসামিদের নিকট বাদি টাকা ফেরত ও ভাগ্নেকে দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বললে তারা খারাপ আচরণ করে এবং লেনদেনের কথা অস্বীকার করে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে বাদি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
চেয়ারে বসা দলাল আক্তার মিয়া অন্য দু টি ছবির মধ্যে হলুদ গেঞ্জি পড়নে ভিকটিম স্বপ্ন সাদাফুলের মধ্যে সাদা সার্ট পড়নে দালাল খলিলুর রহমান।