নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী ১৫ দিন হাজত বাস করে অস্থায়ী জামিনে নিয়ে এসে স্ত্রী ও তার শশুরকে হামলার চেষ্টা সহ মামলা তুলে নেওয়ার হুমকিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে নবীগঞ্জের পলি ও তার পরিবার! মামলার প্রেক্ষিতে জানাযায়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে উপজেলার পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদ এর কন্যা পলি বেগমকে একই গ্রামের মোঃ ফরিদ মিয়ার পুত্র মোঃ রায়হান মিয়ার সাথে বিগত ২০১৮ সালে সরিয়ত ৩লক্ষ টাকা কাবিন মূলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালই কাটছিল। এর মধ্যে পলি গর্ভবতি হয়ে পড়ে। এতে তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার জন্য ২ লক্ষ টাকা দাবী করে। এমনতাবস্তায় স্ত্রী পলি বেগম তার পিতার অসহায়তার কথা বলে যে, আমার পিতা বিগত সময়ে তুমাকে ১লক্ষ টাকা জায়গা বিক্রয় করে দিয়েছেন। আমার বাবার আর কোন সহায় সম্বল নাই যে, বিক্রি করে দুই লক্ষ টাকা তুমাকে দিতে পারবেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন স্ত্রী পলির উপর অমানবিক নির্যাতন চালাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তার স্বামী ফোন দিয়ে তার শশুরকে বাড়িতে আনে। এবং স্বাক্ষীগনের সামনেই বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দুই লক্ষ টাকা দাবী করে স্বামী রায়হান। এতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে অকত্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ হবিগঞ্জ আদালতে গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১০ তারিখে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে পলি বেগম। এতে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসারের নিকট প্রেরন করেন। এতে সমবায় অফিসারের সাথে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে এক তরফাভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দেন। যার ফলে অদ্যবদি পর্যন্ত আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে পলি বেগম তার ৩ বছরের শিশু কন্যা মাহিদা বেগমকে নিয়ে আসামী পক্ষের হুমকিতে আত্মগোপনে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ব্যাপারে নির্যাতিত গৃহবধূ পলি বেগম বলে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন নারী, আমিও নারী হয়ে তিনির নিকট আকুল আবেদন করে বলছি, আমাদেরকে এই জুলুম নির্যাতন থেকে রক্ষা সহ আমার সন্তানের ভবিষ্যৎতের বিষয়টি দেখার জন্য কান্না জড়িত কন্ঠে আকুল আবেদন জানায়।