শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র দলের কমিটি প্রত্যাহারের দাবি ঢাকা আগামী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাদই নামক স্থানে পড়ে যায় আহত ০১ মাধবপুরে চাচার হাতে ভাতিজী খুন হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজকে সকল প্রকার রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার দাবী

সবার ভালোবাসায় রঙিন এবারের জন্মদিন : বুবলী

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৯৫৫ বার পঠিত
ফাইল ছবি

আজ ২০ নভেম্বর চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলীর জন্মদিন। প্রতিবারের মতো এবারের জন্মদিনটিও ঘরোয়াভাবে পালন করছেন ‌‘বসগিরি’ ছবির এই নায়িকা। আজ দুপুরে বুবলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাতে বাসায় ঘরোয়াভাবে কেক কেটেছি। বাবা-মা আর দুই বোনও উপস্থিত ছিলেন।’

বুবলী বলেন, ‘রাজকন্যার মতো সবাই আমাকে খুব আদর করছেন। মা বাসায় আমার পছন্দের খাবার রান্না করেছেন। আমাকে ঘর থেকে বেরই হতে দিচ্ছেন না। আর এত আদর ভালোবাসা পাই বলেই জন্মদিনটা বাসায় কাটাতে ভালো লাগে।’

তিনি বলেন, ‘পরিবারের বাইরেও আমার আরেক পরিবার হচ্ছে চলচ্চিত্র। সেখান থেকেও অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা পাচ্ছি। ভক্তরাও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এই শুভেচ্ছা-ভালোবাসায় রঙিন এবারের জন্মদিন। ইচ্ছে ছিল আমার খুব কাছের মানুষদের নিয়ে একটা গেট টুগেদার পার্টির আয়োজন করবো। কিন্তু সাময়িক কারণে সেটা এবার করতে পারিনি। তবে কদিন পরেই করবো। সেখানে শুধু খাওয়াদাওয়া আর আড্ডা হবে।’

ঢাকাতেই বুবলীর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। বাবা আবুল কাশেম ও মা জেসমিন আক্তারের চার সন্তানের মধ্যে তৃতীয় তিনি। বড় বোন নাজনীন মিমি একসময় গান করলেও বর্তমানে স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত। মেজো বোন শারমিন সুইটি একুশে টিভিতে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন। ছোট ভাই জাহিদ হাসান আকাশ ব্যস্ত পড়াশোনা নিয়ে।

শৈশব থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী বুবলীর প্রথম বিদ্যাপীঠ উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তিনি এইচএসসি পাস করেন উত্তরা উইমেন কলেজ থেকে। সেখান থেকেই অর্থনীতিতে অনার্স শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করছেন।

বুবলী বলেন, ‘আগে ছিলাম অন্য বুবলী। খুব বেশি মানুষ চিনত না। কিন্তু বড় পর্দার অভিনেত্রী হিসেবে এখন সারাদেশ থেকেই ভক্তদের শুভেচ্ছা পাচ্ছি, ভালোবাসায় স্নাত হচ্ছি। ফেসবুক, ফোনের ম্যাসেজ- সবখানেই শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তায় ভেসে যাচ্ছি। আমি অভিভূত।’

গেল বছরে ‘বসগিরি’ সিনেমা দিয়ে ঢাকাই ছবিতে অভিষেক ঘটে বুবলীর। শামীম আহমেদ রনির পরিচালনায় শাকিব খানের বিপরীতে নায়িকা হয়ে এসে চমক দেখান তিনি। আলাদা করে নায়িকা হিসেবে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে শাকিবের বলয় থেকে বের হতে না পারার ত্রুটি রয়েছে বুবলীর, এই দাবি চলচ্চিত্রের মানুষদের। তাদের মতে, একজন নায়িকা কখনো নির্দিষ্ট বলয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। তাকে সার্বজনীন হয়েই কাজ করতে হয়।

সফল-ব্যর্থতার হিসেব করবে ভবিষ্যত। আপাতত, নিজের ব্যবসা সফল ছবিগুলোকে প্রেরণা হিসেবে নিয়ে নিজের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন বুবলী।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।