শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। হবিগঞ্জে ১৮৮০ বোতল বিদেশি মদ‘সহ  গ্রেফতার দুই  মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল: কিশোরীর আত্মহত্যা দুই সাংবাদিকের বিরোধ থেকে সূত্রপাত, এরপর নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ-আগুন, ঝরল ৩ জনের প্রাণ মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র দলের কমিটি প্রত্যাহারের দাবি ঢাকা আগামী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাদই নামক স্থানে পড়ে যায় আহত ০১ মাধবপুরে চাচার হাতে ভাতিজী খুন হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজকে সকল প্রকার রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার দাবী

 হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এতো অভিযানের পরও থেমে নেই মাদক ব্যবসা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৭০ বার পঠিত

হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশের অভিযানে একের এক ইয়াবা,গাঁজা,সহ মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হলেও থেমে নেই বানিয়াচংয়ের মাদক ব্যবসা। এদিকে সর্বশেষ গত ২০অক্টোবর রুবেল নামের এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ৪৫পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। পরে থাকে ২১অক্টোবর (শক্রুবার)২০২২ইং মাদক আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরন করে থানা পুলিশ। এক অনুসন্ধানে জানাযায়,হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ প্রশাসনের গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন ইউনিট ও বানিয়াচং থানা পুলিশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এতো অভিযানের পরও থেমে নেই বানিয়াচংয়ের এই ভয়াবহ ইয়াবাসহ মাদকের ব্যাবসা। পুরাতন ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হলেও এই সুযোগে এই ব্যবসায় নতুন নতুন অসংখ্য ব্যবসায়ীদের সয়লাব হতে দেখা যাচ্ছে উপজেলা সদরের ভিতরে। এমনকি পুরাতন ব্যবসায়ীরাও জামীন লাভ করে এসেই শুরু করেন তাদের এই ব্যাবসার কার্যক্রম। অন্যদিকে আবার চিহ্নিত অনেক পুরাতন গাঁজা ব্যাবসায়ীরাও এসব ইয়াবা আমদানি করে দিচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান,বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের যাত্রাপাশা গ্রামের চিহ্নিত গাঁজা ব্যাবসায়ী আব্দু রউফ,কালিকাপাড়ার সেলিম ও ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের ছিলাপাঞ্জা গ্রামের সিজিল মিয়া পাড়াগাঁও ফুরিহাটির মুতিবাড়ির মধ্যেবর্তী এলাকার ফুলমিয়া(৫৫)ডালি মহল্লার বজলু মিয়া(৩৫)কে ইয়াবা আমদানি করে দিয়ে পুরোদমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও বানেশ্বর বিশ্বাসের পাড়ার হারিছ মিয়া(৩০)সুহেল মিয়া(৪০)ছিলাপাঞ্জা এলাকার কাউসার মিয়া(২২)যাত্রাপাশা কান্দিপাড়া এলাকার মিশুক চালক সেবুল মিয়া(৩৫)জাতুকর্ন পাড়ার দুবাই প্রবাসী কুখ্যাত ডাকাত নানু মিয়া(৪৫)ইনাথখানী মহল্লার দুইজন,কালিকা পাড়ার টমটম চালক হিসেবে পরিচিত মিজান(৩৫)সহ দুইজন,আদর্শ বাজার এলাকায় মোফাজ্জল(২৮)সহ দুইজন ইয়াবা ব্যাবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। এমনকি নতুন মাত্রায় এক ভাসমান ব্যবসায়ীও বানিয়াচং সদরে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে। ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের বগী’র তোফাজ্জল(২৪) নামের এই যুবক বানিয়াচং সদরের চানপাড়া,বাবুর বাজার,নতুন বাজার,বড়বাজার এলাকায় বিভিন্ন স্হানে রাত্রি যাপন করে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে। আর বানিয়াচং উপজেলাসহ অন্যান্য এক দুটি উপজেলায় এসবের প্রধান ডিলারির ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে সদ্য র্যাব,ডিবি,থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জামিন লাভকারী ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া মহল্লার আব্দুল হক মিয়ার পুত্র সাইদুল হক(৩৫)। মাস খানেক গত হয় জামীনে এসেই পুরোদমে শুরু করে তার এই ইয়াবা ব্যবসা। সাইদুল সম্পর্কে এলাকাবাসী ও লোকমুখে শুনা যায় যে,এই সাইদুল হক ইয়াবা ব্যবসা করে নিজ বাড়িতে ছাঁদ দিয়ে বড় একটি বিল্ডিং নির্মান করেছে। এমনকি বর্তমানেও তার বাড়িতে চিহ্নিত এক,দুইজন ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য লেবার দিয়ে তার ঘরের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই বানিয়াচংসহ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সচেতন মহল এসব ব্যবসায়ীর কারনে শুধু যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছেনা বলে মনে করেন তারা। এসব কারনে দিন দিন বাড়ছে চুরি,ছিনতাই, ডাকাতির মতো বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম। আর এসব মাদকের টাকা জোগাতে গিয়েই নানান অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে ভালো ভালো পরিবারের সন্তানসহ নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানরা। তাই সচেতন মহল মনে করেন পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের সমাজের সচেতন নাগরিকদেরকে এগিয়ে আসতে হবে এসব নির্মূল করতে হলে। পুলিশ প্রশাসনকে করতে হবে সহযোগীতা। তবেই এসব নির্মূলে ভূমিকা আসতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। এদিকে গত ২০অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার হওয়া ইয়াবা ব্যবসায়ী রুবেল সম্পর্কে এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়,বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের প্রথমরেখ খাওর এলাকার বৈঠাখালি নামক স্থান থেকে ইয়াবা ব্যাবসায়ী রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী রুবেল হলো বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের জাতুকর্ণ পাড়ার (মাইজের মহল্লার) আমান আলীর পুত্র। রুবেল দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যাবসার সাথে জড়িত রয়েছে এবং নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)অজয় চন্দ্র দেব জানান, বানিয়াচংয়ের অপরাধ নির্মূলে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মাদক ব্যবসায়ীসহ চিহ্নিত অপরাধীদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।