রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুমকি ॥ হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবীতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি বাহুবলে দ্বিগাম্বর সিদ্দিকীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার জাফরির বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ হবিগঞ্জে অর্ধকোটি টাকার মালামাল ও যানবাহন আটক করেছে বিজিবি হবিগঞ্জে শিশুসহ ২২ জনকে  পুশইন করেছে বিএসএফ মাধবপুরে চারটি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা কমিটির বহিস্কৃত নেতা সাকিবসহ ৪জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা বাহুবলে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত অর্ধশত হাইকোর্ট এর রায় কে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অবস্থান সমাবেশ মানুষের কর্মপ্রচেষ্টা ও পরিণতির পথ হবিগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৩০

হবিগঞ্জ শহরে বিদ্যুত ‘এই আছে এই নেই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফাষ্টবাংলাটোয়েন্টিফোর.কম
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৮৫ বার পঠিত

 ‘হুটহাট’ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার জেনারেটর চালু করতে না করতে চলে আসে। আবার যাদের জেনারেটর নেই তাদের ক্ষেত্রে মোমবাতি কিংবা চার্জার লাইট জ¦ালানোর আগেই চলে আসে। দিনে-রাতে একবার নয়; অনেকবার এ রকম ঘটে। গড় হিসেবে বলতে গেলে ৩০ মিনিটে ১০ বার বিদ্যুত আসা যাওয়া করে। এটা খুবই বিরক্তিকর। কাজের ব্যাঘাত তো হয়ই, পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোও তিগ্রস্ত হয়। তার চেয়ে তাদের (কর্তৃপক্ষ) খুুশিমতো টানা ঘণ্টা-দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ না দিলেই হয়। ’ বিদ্যুৎ এই আছে, এই নেই। বিদ্যুতের ভোগান্তিতে এভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরের বাসিন্দা আজিজুর রহমান। হবিগঞ্জ শহরে গত কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অতিষ্ঠ মানুষ। প্রতি ঘণ্টায় ৮/১০ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। কখনো আধাঘণ্টা; কখনো বা দুই ঘণ্টা আবার কখনো কখনো কয়েক সেকেন্ড বা মিনিটের জন্য। এতে কাজের ব্যাঘাতের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকের।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখাকালে মধ্যে কয়েক দফায় অসংখ্যবার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ‘এক ঘণ্টার মধ্যে ৭/৮ বিদ্যুৎ গেছে। একেবারে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিয়ে গেলে তাও এক সান্ত¡না। ’ জানা যায়, বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর পাশাপাশি আবাসিক এলাকাগুলো বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়েছে। আবাসিক এলাকাগুলোতে বিভ্রাট তুলনামূলক বেশি হচ্ছে। এতে গরমে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া ঝোড়ো বাতাস কিংবা বৃষ্টি হলেই নগর বিদ্যুত হয়ে পড়ে। অন্ধকারে ডুবে যায় পুরো শহর। কদিন ধরে বিদ্যুতের ভেল্কিভাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে হবিগঞ্জ শহরবাসীর জনজীবন। হঠাৎ বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতিতে জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীরা। এর মধ্যে গত সপ্তাহখানেক ধরে ধরে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে দুর্ভোগের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাতেও চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি। শহরের শায়েস্তানগর, মোহনপুর, রানজনগর, ২নং পুল, পইল রোড, মাহমুদাবাদ, অনন্তপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুত নেই। আবার কোনো কোনো স্থানে বিদ্যুত এলে লো বোল্ডেজের কারণে ইলেক্ট্রিক সামগ্রী বিকল হয়ে গেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ বারবার ফোন দিয়েও পিডিবির অফিস থেকে উত্তর মিলেনি। আবার কেউ কেউ রিসিভ করে বলেন লোক যাচ্ছে মেরামত করতে। কিন্তু ৪/৫ ঘন্টা পার হলেও লোকের খবর পাওয়া যায় না। এ ভাবেই চলছে হবিগঞ্জে বিদ্যুতের গ্রাহক সেবা। এসব বিষয়ে হবিগঞ্জ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘ফিডারে সমস্যা হওয়ায় কিছু অঞ্চলে অল্প সময়ের জন্য ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ’ সেটিং এলোমেলো হওয়ার কারণে এটা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘কাজ চলছে। কাজ হয়ে গেলে এ সমস্যা আর থাকবে না। ’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..