বাহুবল উপজেলার দিগাম্বর সিদ্দিকীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলাম জাফরির বিরুদ্ধে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকাসহ বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে দিগাম্বর সিদ্দিকীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দানারায়ন গ্রামের চুরত আরীর ছেলে ইউছুফ মিয়ার উপবৃত্তির টাকা জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে উত্তোলন করেন মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলাম জাফরি। উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর বড় ভাই রিপন মিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগের রিসিভ কপি আনার পর তদন্ত হওয়ার আগেই ইউএনও অফিস থেকে উদাও হয়ে যায় অভিযোগপত্র। পরপর তিনবার একই অভিযোগ ইউএনও বরাবর দায়ের করলে তখনকার ইউএনও জসিম উদ্দিন তদন্তের দায়িত্ব দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পর্যন্তই থেমে থাকে তদন্ত। এনিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি মাদ্রাসা কতৃপক্ষের।
এবিষয়ে রিপন মিয়া বলেন, একপর্যায়ে মাদ্রাসা সুপার আমাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন, তাতে আমি রাজি না হয়ে সত্য উদঘাটনে দুদকের গণশুনানি সুপারের বিষয়টি উত্থাপন করি। প্রথমে দুদক আমাকে আসস্ত করলেও পরবর্তীতে সুপারের অবৈধ টাকার কাছে আমার অভিযোগটি আটকে থাকে। ৫ই আগষ্টের পর ন্যায় বিচারক পাওয়ার আশায় আমি আবারো পূর্ণতদন্তের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
দিগাম্বর বাজারের ব্যবসায়ী নুর মিয়াসহ অনেকেই জানান, মাদ্রাসা সুপারের দায়িত্বে রফিকুল ইসলাম জাফরি সাহেব উনার নিজ এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। আমেরিকা প্রবাসী মাদ্রাসার ছাত্রীদের নামাজের জায়গার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তাও গায়েব করে পেলেন সুপার রফিকুল ইসলাম জাফরি। মাদ্রাসার আয় ব্যায়ের কোন হিসাব আজ পর্যন্ত কাউকে দেননি তিনি। এমনকি তিনি বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। আমরা তার অপসারণ সহ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবী জানাই।
এবিষয়ে জানতে মাদ্রাসা সুপার রফিকুল ইসলাম জাফরিকে মুঠোফোনে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গিয়াস উদ্দীন বলেন, মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।