বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
টাকা দিয়ে মৃত ব্যক্তির জন্য কোরআন খতম করানো জায়েজ? হবিগঞ্জ পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অবনী দাশ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি বিক্রির নামে প্রতারণা নবীগঞ্জে জুমার নামাজ চলাকালে ছু’রিকাঘাতে মুসল্লি খু’ন সিলেটে হবিগঞ্জ বিরতীহিন বাস-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সং’ঘ’র্ষ, বাবা-মেয়ে নি’হ’ত বামকান্দির হাজ্বী রফিক মিয়া হত্যার প্রধান আসামি লোকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কায়সারের বিরুদ্ধে চার্জশীট অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার কঠোর শাস্তি ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, হবিগঞ্জে বৈষম্য মামলায় জড়িয়ে,, ফাঁসানো ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ – লক্ষ টাকা,, ক্ষোভ  ফ্রিজে থাকা লাশের কবরের হিসাব কীভাবে নেওয়া হবে? হবিগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ১ মাধবপুরে এক ছাত্রের ছুরিকাঘাতে অপর ছাত্রের মৃত্যু ‎

বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে সম্মিলিতভাবে

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ১০৭৩ বার পঠিত
ফাইল ছবি

ইদানীং পত্রপত্রিকায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের খবর যখন আমাদের আশান্বিত করে তুলছিল, তখন এই ৪৫ জন ছাত্রীর বিয়ের কারণে পরীক্ষায় না বসার খবরটি আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না।

শুক্রবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক খবরে বাল্যবিবাহের কারণে এই ৪৫ জন ছাত্রীর পরীক্ষায় না বসার বিষয়টি জানা যায়। খবর অনুযায়ী, এই ছাত্রীরা যেসব স্কুলে এত দিন পড়ালেখা করে আসছিল, সেসব স্কুলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিয়মিত নানা সচেতনতামূলক সভা করা হয়। শ্রেণিকক্ষে বাল্যবিবাহের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে ছাত্রছাত্রীদের ধারণা দেওয়া হয়। কিন্তু এসব উদ্যোগ যে খুব একটা কাজে আসেনি, ৪৫ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহের শিকার হওয়াই তার প্রমাণ।

তাহলে করণীয় কী? চলতি বছরেই দেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন হয়েছে। তবে ওই আইনের একটি বিশেষ বিধান অনুযায়ী, কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশে এবং পিতা-মাতা বা অভিভাবকের সম্মতিক্রমে বাল্যবিবাহ হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না। হতে পারে এই ৪৫ জন ছাত্রীর অভিভাবকেরা ওই বিশেষ বিধানের সুযোগ নিয়ে তাদের বাল্যবিবাহ দিয়েছেন।

আমরা মনে করি, কোনো অবস্থায়ই বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না। জরুরি ভিত্তিতে এ আইনটি সংশোধন করা হোক। এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তাঁদের জন্য নিয়মিত আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে, যেখানে তাঁরা বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো ও সুশীল সমাজের সদস্যরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারেন।

 বাল্যবিবাহ রোধের পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..