বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শামসুর রাহমানের ৮৯তম জন্মদিন আজ। ১৯২৯ সালের এই দিনে ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির জন্মদিন স্মরণে বাংলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি, নিবেদিত কবিতা পাঠ।
কবি শামসুর রাহমান একাধারে কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক, কলামিস্ট, অনুবাদক ও গীতিকার। পঞ্চাশ দশক থেকে শুরু করে একাধারে কবি প্রায় ছয় দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী বিরতিহীনভাবে সাহিত্য-সাংবাদিকতা ও সংস্কৃতিক্ষেত্রে কাজ করেন। তাকে বাংলা সাহিত্যে ‘স্বাধীনতার কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
কবিতায় তিনি স্বাধীনতার মানসে ব্যাপক কাজ করেন। মৌলবাদ, ধর্মান্ধতারিরোধী বিষয়েও অবদান রাখেন তিনি।
ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালে আঠার বছর বয়সে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তার প্রথম কবিতা প্রকাশ পায় ‘সাপ্তাহিক সোনার বাংলা’ পত্রিকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করার পর কবি ১৯৫৭ সালে ডেইলি মর্নিং সান পত্রিকায় সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কর্ম ও পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরে পাকিস্তান রেডিওতে দেড় বছর চাকুরি করেন। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক বাংলা পত্রিকায় যোগ দেন। এক পর্যায়ে এই পত্রিকার প্রধান সম্পাদকসহ সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে মূলধারা,অধূনা নামে দুটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশ পায় ১৯৬০ সালে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ রুদ্ধ করোটিতে (১৯৬৩ ) এবং পরবর্তীতে বিধ্বস্ত নীলিমা (১৯৬৭), নিরালোকে দিব্যরত (১৯৬৮), নিজ বাসভূমে ( ১৯৭০), বন্দি শিবির থেকে (১৯৭২)সহ কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রস্থ ৪৮টি, কাব্য সমগ্র ১০, উপন্যাস ৪, গল্প সমগ্র ২, কলাম ২, অনুবাদ কবিতা ৫, অনুবাদ নাটক ২টি, জীবনী ১, শিশুতোষ ১০সহ মোট ৯৮টি পুস্তক প্রকাশ পায়। আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাদীনতা দিবস পদক ও ভারতের আনন্দ পুরস্কারসহ বেশকিছু পুরস্কার লাভ করেন কবি।