হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বামকান্দি গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে হাজী রফিক মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় লোকড়া ইউপি চেয়ারম্যান কায়সার রহমানকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামী করা হয়। নিহত হাজী রফিক মিয়ার ছেলে মোঃ সাকিব বাদী হয়ে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ সদর থানাকে এফআইআর গণ্যে মামলাটি রুজু করার জন্য আদেশ দেন। জানা যায়, লোকড়া ইউনিয়নের বামকান্দি গ্রামে গত ৬ মার্চ বুধবার রাতে স্থানীয় একটি ওরসে নাগর দোলায় উঠা নিয়ে শিশুদের ঝগড়া হয়। এ নিয়ে বামকান্দি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়া এবং হাজী রফিক মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি মিমাংসার জন্য পর দিন ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে বামকান্দি বাজারে সালিশ বৈঠক বসার জন্য হাজী রফিক মিয়া গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর হামলা করে। এতে রফিক মিয়া গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার খবর পেয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে রফিক মিয়ার পরে আব্দুস সোবহান (৬০) নামে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় আরও প্রায় ৩০জন। গুরুতর আহত হাজী রফিক মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরবর্তিতে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়া হলে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজী রফিক মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বামকান্দি গ্রামে হাজী রফিক মিয়ার লাশ দাফন করা হয়। একটি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় বামকান্দি গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।