রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
হবিগঞ্জে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ৭জনের মৃত্যুদন্ড ১০ জনের যাবজ্জীবন ও১ লাখ টাকা জনপ্রতি অর্থদন্ড হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসব অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ ও নন-ফুড ড্রামে ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে হবিগঞ্জে ক্যাবের মানববন্ধন লিফলেট বিতরণ ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান হবিগঞ্জ ২৫০ শয়্যা জেলা সদর হাসপাতাল দালালদের দখলে আজমিরীগঞ্জে মাঠে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী পুরুসসহ আহত ৪০ পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো:সারওয়ার হোসেন । পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো:সোহাগ চৌধুরী হবিগঞ্জ ইন্ডাস্টিয়াল পার্কে প্রাণের চিপস কারখানায় আগুন হবিগঞ্জ যাত্রী কল্যাণের বিবৃতির পর বিভিন্ন রোডে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী সিএনজিকে জরিমানা করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। পাগল মন রে

শায়েস্তাগঞ্জে আঞ্চলিক হাঁস খামারে ৮ বছর পর বাচ্চা উৎপাদন

বিশেষ প্রতিনিধি,হবিগঞ্জ
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩
  • ২৮ বার পঠিত

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে দীর্ঘ আট বছর বাচ্চা উৎপাদন বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে।
উপজেলার বিরামচর এলাকায় ২০ বছর আগে গড়ে তোলা হয় আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার। কিন্তু খামারটি চালুর কয়েক বছর পরই নানা সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায় বাচ্চা উৎপাদন।

জানা যায়, ওই অঞ্চলের বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারটি স্থাপন করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। ২০০৩ সালে খামারটি স্থাপন করা হলেও কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ সালে। এরপর মাত্র তিন বছর সেখানে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করা হয়।
২০০৯ সাল থেকে নানা সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায় বাচ্চা উৎপাদন। যদিও পরবর্তীকালে খামারটি পুনরায় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সালের শেষ দিকে তিন একর জায়গাজুড়ে খামারটি সম্প্রসারণ করা হয়। নির্মাণ করা হয় অফিস ভবন, হ্যাচারি ভবন, স্টোর ভবন, ডরমিটরি ভবন, পাম্প হাউজ, আটটি ব্রুডার, গ্রোয়ার ও লেয়ার শেড এবং গ্যারেজ ও নাইটগার্ড রুম। সেই সঙ্গে স্থাপন করা হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের দুটি বাচ্চা ফুটানোর ইনকিউবেটর।

২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় এর কার্যক্রম শুরু হলেও বাচ্চা উৎপাদন বন্ধই ছিল। বাচ্চা ফুটানোর ইনকিউবেটরগুলোতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উৎপাদন করা যায়নি। অথচ মাসে ২৭ হাজার হাসের বাচ্চা ফুটানোর ক্ষমতাসম্পন্ন খামার এটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র তিন হাজার বাচ্চা উৎপাদন করেছে খামার কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছর নতুন কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন যোগদান করার পর তিনি উদ্যোগ নিয়ে ইনকিউবেটর সচল করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। অনুমোদন পেয়ে তিনি বাচ্চা উৎপাদনের জন্য ইনকিউবেটর, এসিসহ আদ্রতা সেন্সর, তাপমাত্রা সেন্সর ও টার্নিং সিলিন্ডার বিদেশ থেকে আমদানি করে যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে খামার সচল করেন। এরপর গত ৯ মে বাচ্চা উৎপাদনের জন্য ইনকিউবেটরে ডিম বসান।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ইনকিউবেটরের যান্ত্রিক ত্রুটি ও জনবল সংকটের কারণে দীর্ঘদিন খামারে বাচ্চা উৎপাদন সম্ভব হয়নি। বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ এনে ইনকিউবেটরগুলো সচল করা হয়েছে। যন্ত্রাংশ মেরামত করে আবারও হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা গত ৯ মে ইনকিউবেটরে ডিম দিয়েছি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহে বাচ্চা ফুটে যাবে। এখন বড় বাধা হচ্ছে বিদ্যুৎ। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..