শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ মনের কথা ও তথ্য দিয়ে  সংবাদ পাঠাতে পারেন, আপনার পরিচয় গোপন রেখে যাচাই বাছাই করে  নিয়ম অনুযায়ী   প্রকাশ করা হবে ।
শিরোনামঃ
হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীরা ইভটিজিং এর স্বীকার প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও সঠিক ব্যাখ্যা হবিগঞ্জের শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, অন্ধকারে পুরো জেলা গোপায়া ইউনিয়নে বৃক্ষ রোপন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘোষণা শহরে অভিযান চালিয়ে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবিগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন, পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম হবিগঞ্জ কারাগারে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে নিজেই বন্দি লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

সিত্রাংয়ের প্রভাবে হবিগঞ্জে ৩ লাখ গ্রাহক ছিলেন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৭২ বার পঠিত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে গেছে। এখন এর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব শুরু হয়েছে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত থেকেই জেলার বেশির ভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
জেলার প্রায় ৩ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে জেলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টায় বিদুৎ বিচ্ছিন্ন হলে ৯ ঘণ্টা অন্ধকারে থাকে জেলাবাসী। তবে কোথাও কোথাও সোমবার ভোর থেকে বিদ্যুতের সুবিধা পান গ্রাহকরা। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
সিত্রাংয়ের কারণে গত রোববার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও বিকেল থেকে তা বাড়তে থাকে। সোমবার দুপুর থেকে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। এতে গাছপালা উপড়ে ও ডালপালা ভেঙে পড়ে। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো হবিগঞ্জ। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক জটিলতা দেখা দেয়। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ থাকে মোবাইল ইন্টারনেট।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) হবিগঞ্জ জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ঝড়ো বাতাসে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি তারা। আমরা চেষ্টা করছি ক্ষতিগ্রস্ত লাইন সংস্কার করার। ইতোমধ্যে অনেক স্থানে লাইন সংস্কার করা হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাকি ক্ষতিগ্রস্ত লাইন সংস্কারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইনে গাছ পড়ার কারণে বিদ্যুতের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখ টাকা। যেহেতু প্রাকৃতিক কারণে এসব ক্ষতি হয়েছে, সে সেক্ষেত্রে এসব ক্ষতি অফিস বহন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

লাখাইয়ে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু: মো নুরুজ্জামান রাজু হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ লিপি রাণী সরকার বিষ পানে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিষপানের পর দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে বিষপান করেন লিপি রাণী সরকার। বিষপানের পর তাকে দ্রুত বুল্লা বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এবং পানি খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ফার্মেসি থেকে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পরই লিপি রাণী সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। লিপির বাবার বাড়ি মাধবপুরের দুর্গাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সতিন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লিপির লাশ পূর্ব বুল্লা গ্রামে দাহ করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।