ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে রোববার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে ধমকা হাওয়াসহ মাঝারি ও ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস।
এদিকে সকালে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলায় বন্ধ রয়েছে নৌযান চলাচল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ।
ইতোমধ্যে জেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ২৬টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রয়োজন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া গৃহপালিত পশুদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫শ নগদ টাকা এবং ৩শ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে।
এছাড়া সরকারের কাছ থেকে ২৫ লাখ নগদ অর্থ এবং ২০ হাজার প্যাটেক শুকনো খাবার সরকারের কাছে চাহিদা পত্র দাখিল করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ৭২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।
এদিকে নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে বা সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি। এছাড়াও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।